উইমেন’স সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ
প্রতিপক্ষের ‘ভয়ঙ্কর’ খেলোয়াড়কে বোতলবন্দি করে রাখতে পারার আনন্দও সঙ্গী আফিদা-মারুফাদের।
Published : 30 Oct 2024, 11:15 PM
ম্যাচজুড়েই সাবিত্রা ভাণ্ডারির আশে-পাশে দেখা গেলো আফিদা খন্দকারকে। যেন নেপালের ফরোয়ার্ডকে চোখের আড়াল হতে মানা তার। মাঝেমধ্যে শিউলি আজিম, মাসুরা পারভীন পাহারা দিতে লাগলেন সাবিত্রাকে। ম্যাচজুড়ে নেপালের এই তারকাকে ‘বন্দি’ করে রাখার পরিকল্পনা ছিল বলে জানালেন আফিদা।
কাঠমাণ্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে বুধবার ফাইনালে স্বাগতিক নেপালকে ২-১ গোলে হারায় বাংলাদেশ।
তিনটি গোলই হয়েছে দ্বিতীয়ার্ধে। মনিকা চাকমা দলকে এগিয়ে নেওয়ার পর স্বাগতিকদের সমতায় ফেরান আমিশা কারিকা। ৮১তম মিনিটে ঋতুপর্ণা চাকমার করা গোলটি আগলে রেখে জয়ের আনন্দে মাতে বাংলাদেশ।
ম্যাচে বাংলাদেশের রক্ষণে তেমন কোনো ভীতি ছড়াতে পারেননি সাবিত্রা। আসলে ডিফেন্ডারদের দুর্দান্ত প্রতিরোধের দেয়াল ভেদ করতে পারেননি তিনি। ম্যাচে আফিদা একবার পরাস্ত হয়েছিলেন সাবিত্রার কাছে, কথাটি বলতেই এই ডিফেন্ডার জানালেন, পরিকল্পনা মাথায় নিয়েই নেমেছিলেন তারা।
“আমাদের উদ্দেশ্য ছিল উনাকে আটকানো। উনাকে যে বল দিবে, সেটা আমরা ধরতে দেব না। আমরা অতোটা ভয়ও পাইনি। আমাদের ডিফেন্স লাইন শক্তিশালী, সেটা আমরা জানতাম। আমরা জানি, আমরা কতটুকু পারি। একবার সে আমাকে ফাঁকি দিতে পেরেছিল, ম্যাচে এমনটা তো হয়ই।”
আফিদাসহ মোট ৯ জন এবারই প্রথম সাফে খেললেন। প্রথম আসরেই শিরোপা জিতেছেন, সেটা যেন বিশ্বাসই করতে পারছেন না এই তরুণ ডিফেন্ডার।
“আমার এখনও বিশ্বাস হচ্ছে না, যখন বাঁশি দিছে তখনও মনে হয়নি। মেডেল, ট্রফি হাতে পাওয়ার পরও বিশ্বাস হয়নি। আলহামদুলিল্লাহ, আমরা চ্যাম্পিয়ন।”
গোলমুখে জটলার ভেতর থেকে সুযোগসন্ধানী গোলে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়েছিলেন মনিকা। মাঝমাঠের এই নির্ভরতা বললেন, নেপাল সমতায় ফিরলেও তাদের মনোবল ছিল দৃঢ়।
“অবশ্যই ভালো লাগছে (ফাইনাল জিতে)। দেশের জন্য ভালো ফল এনে দিতে পেরেছি। দেশবাসী আমাদের সঙ্গে ছিল। সবাইকে ধন্যবাদ। আমরা হাল ছাড়িনি। আমাদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস ছিল যে, আমরা পারব এবং পেরেছি।”
প্রাণোচ্ছল হাসির মাঝে ঋতুপর্ণা বললেন, 'ভাবতে পারিনি সেরা খেলোয়াড় হব'
ঋতুপর্ণার শেষের গোলে আবারও সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
শিরোপা জিতে বাটলার বললেন, 'এটাই আমার শেষ ম্যাচ'