ফিফা
ক্লাব ফুটবলে ইউরোপের বাইরে খেলা একমাত্র ফুটবলার হিসেবে ১১ জনের তালিকায় আছেন লিওনেল মেসি।
Published : 29 Nov 2024, 04:30 PM
এই বছরের ব্যালন দ’রের সংক্ষিপ্ত তালিকায় জায়গা না পেলেও, ‘দা বেস্ট ফিফা মেনস প্লেয়ার’ পুরস্কার জয়ের দৌড়ে আছেন লিওনেল মেসি। লড়াইয়ে আছেন এবারের ব্যালন দ’র জয়ী রদ্রি, কিলিয়ান এমবাপে, ভিনিসিউস জুনিয়রও।
পুরুষ বর্ষসেরা ফুটবলার নির্বাচনে শুক্রবার নিজেদের ওয়েবসাইটে ১১ জনের তালিকা প্রকাশ করেছে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্তা সংস্থাটি।
তালিকায় আরও আছেন দানি কার্ভাহাল, আর্লিং হলান্ড, ফেদেরিকো ভালভের্দে, ফ্লোরিয়ান ভিরৎজ, জুড বেলিংহ্যাম, লামিনে ইয়ামাল, টনি ক্রুস।
১১ জনের তালিকায় ৬ জনই রেয়াল মাদ্রিদের খেলোয়াড়। ক্লাব ফুটবলে ইউরোপের বাইরে খেলা একমাত্র ফুটবলার হিসেবে তালিকায় আছেন মেসি।
২০২৩ সালের ২১ আগস্ট থেকে ২০২৪ সালের ১০ আগস্ট সময়ের পারফরম্যান্স বিবেচনায় করা হয়েছে এই তালিকা।
২০০৩ সালের পর এবারই প্রথম ব্যালন দ’রের ৩০ জনের তালিকায় ছিলেন না ২০২৩ সালের বিজয়ী মেসি। রেকর্ড আটবারের ব্যালন দ’র জয়ী এই তারকা ‘দা বেস্ট ফিফা মেনস প্লেয়ার’ পুরস্কারও জিতেছেন সর্বোচ্চ তিনবার- ২০১৯, ২০২২ ও ২০২৩ সালে।
বয়স ৩৭ হয়ে গেলেও, ফুটবলের আঙিনায় ক্লাব ও জাতীয় দলের হয়ে এখনও দারুণ দ্যুতিময় মেসি। ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলের পাঠ চুকিয়ে গত বছরের জুলাইয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাব ইন্টার মায়ামিতে যোগ দেন তিনি। তার অসাধারণ পারফরম্যান্সে ২০২৩ লিগস কাপ জিতে প্রথমবার বড় কোনো ট্রফি জয়ের স্বাদ পায় মায়ামি।
দলটির ২০২৪ সাপোর্টার্স শিল্ড জয়েও বড় অবদান রাখেন মেসি। মেজর লিগ সকারের দুটি বড় শিরোপার একটি এই সাপোর্টার্স শিল্ড। নিয়মিত মৌসুমে ৩৪ ম্যাচের লিগজুড়ে সামগ্রিক পারফরম্যান্সে সবচেয়ে ধারাবাহিক দল পায় এই ট্রফি। আরেকটি ট্রফি হলো এমএলএস কাপ, যেখানে প্লে-অফে হেরে যায় মায়ামি।
জাতীয় দলের হয়ে ২০২৪ সালের কোপা আমেরিকা শিরোপা জেতেন মেসি। ২০২৬ বিশ্বকাপের দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বাছাইপর্বে সর্বোচ্চ ৬ গোল করে বছর শেষ করেন তিনি।
ফিফা বর্ষসেরার লড়াইয়ে থাকা রদ্রি গত মৌসুমে ম্যানচেস্টার সিটির টানা চতুর্থ প্রিমিয়ার লিগ জয়ে রাখেন বড় অবদান। গত জুলাইয়ে জার্মানিতে অনুষ্ঠিত ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে স্পেনের শিরোপা জয়েও এই মিডফিল্ডার রাখেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা, জেতেন টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার। ভিনিসিউসকে পেছনে ফেলে তিনি জেতেন ব্যালন দ’র।
গত মৌসুমে রেয়ালের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, লা লিগা ও স্প্যানিশ সুপার কাপ জয়ে বড় অবদান রাখেন ভিনিসিউস। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে দলের ২-০ ব্যবধানের জয়ে দলের দ্বিতীয় গোলটি করেন তিনি। নির্বাচিত হন আসরের সেরা খেলোয়াড়।
স্প্যানিশ সুপার কাপের ফাইনালে তিনি হ্যাটট্রিক করেন বার্সেলোনার বিপক্ষে। ২০২৩-২৪ মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে রেয়ালের হয়ে ৩৯ ম্যাচে ২৪ গোল করেন এই ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড।
ফিফার প্রতিটি সদস্য দেশের অধিনায়ক, কোচ এবং নির্বাচিত সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের ভোটে নির্বাচিত হয় সেরা। তাদের ভোট ৭৫ শতাংশ। বাকি ২৫ শতাংশ আসে দর্শকদের ভোটে।
আগামী ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থার ওয়েবসাইটে ভোট দিতে পারবেন ফুটবলপ্রেমীরা।
১১ জনের তালিকা:
দানি কার্ভাহাল (স্পেন/রেয়াল মাদ্রিদ)
আর্লিং হলান্ড (নরওয়ে/ম্যানচেস্টার সিটি)
ফেদেরিকো ভালভের্দে (উরুগুয়ে/রেয়াল মাদ্রিদ)
ফ্লোরিয়ান ভিরৎজ (জার্মানি/বায়ার লেভারকুজেন)
জুড বেলিংহ্যাম (ইংল্যান্ড/রেয়াল মাদ্রিদ)
কিলিয়ান এমবাপে (ফ্রান্স/রেয়াল মাদ্রিদ)
লামিনে ইয়ামাল (স্পেন/বার্সেলোনা)
লিওনেল মেসি (আর্জেন্টিনা/ইন্টার মায়ামি)
রদ্রি (স্পেন/ম্যানচেস্টার সিটি)
টনি ক্রুস (জার্মানি/রেয়াল মাদ্রিদ)
ভিনিসিউস জুনিয়র (ব্রাজিল/রেয়াল মাদ্রিদ)
আরও পড়ুন