সৌদিতে প্রথম দিনের অনুশীলনে গুরুত্ব ‘টেকনিক্যাল দিক’

হাভিয়ের কাবরেরা মনে করেন, কুয়েতের মতো প্রায় একই কন্ডিশন হওয়ায় সৌদি আরবের ক্যাম্প বাংলাদেশের কাজে আসবে।

ফিলিস্তিনের বিপক্ষে ম্যাচ সামনে রেখে সৌদি আরবে পৌঁছে প্রস্তুতি শুরু করেছে বাংলাদেশ দল। শুরুতে টেকনিক্যাল দিকগুলোকে প্রধান্য দিচ্ছেন কোচ হাভিয়ের কাবরেরা।

২০২৬ বিশ্বকাপ ও ২০২৭ এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের প্রথম লেগে আগামী ২১ মার্চ কুয়েতে ফিলিস্তিনের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। এই ম্যাচের প্রস্তুতি নিতে সৌদি আরবে ক্যাম্প করছে দল। কিং ফাহাদ স্পোর্টস সিটি গ্রাউন্ডে রোববার বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় প্রথম অনুশীলনে নামে তারা।

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) মাধ্যমে পাঠানো ভিডিও বার্তায় কাবরেরা জানিয়েছেন, টেকনিক্যাল দিক এবং খেলোয়াড়দের বর্তমান ফিটনেস নিয়ে কাজ করেছেন তিনি।

“আজকের সেশনে টেকনিক্যাল অংশ নিয়েই কাজ করেছি বেশি। কার কি চোট ছিল সেসব শুনেছি। মাঠে সবার মান দেখেছি এবং সেটা খুবই ভালো। সবার মধ্যে প্রাণচাঞ্চল্য দেখতে পেলাম। ভালো খবর যে, সবাই ফিট আছে। এটা ইতিবাক এবং এটাই আমাদের আজকের সেশনের মূল ব্যাপার ছিল।”

“আমরা কি করব সেটা নিয়েই সবার সঙ্গে কথা বলেছি। অধিকাংশ খেলোয়াড়ই এক সপ্তাহের বেশি অনুশীলনের মধ্যে নেই। আমাদের লক্ষ্য পরের ধাপে কীভাবে যাব সেটা নিয়ে কাজ করা।”

কুয়েত ও সৌদির আবহাওয়া একই রকম। ফলে কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে সৌদিতে অনুশীলনের সময় হিসেবে সন্ধ্যা বেলাকে বেছে নিয়েছেন কোচ।

“এখানে ঠাণ্ডা পরিবেশে অনুশীলন করছি। কুয়েতে রাত সাড়ে ৯টায় ম্যাচ। তাই আমরাও সৌদিতে সন্ধ্যার এই সময়টা বেছে নিয়েছি প্রস্তুতির জন্য। কারণ প্রায় আমার মনে হয়, কুয়েত ও সৌদির কন্ডিশন অনেকটাই একইরকম।”

প্রথম দিনের অনুশীলনে কোচের কাছ থেকে ফিলিস্তিন ম্যাচে কী করণীয়, সে বার্তা পেয়ে গেছেন খেলোয়াড়রা। ডিফেন্ডার রহমত মিয়া জানিয়েছেন নতুন বছর শুরু করতে চান দারুণ প্রাপ্তির স্বাদ নিয়ে।

“২০২৩ সালে যেখানে আমরা শেষ করেছি (গত বছর নিজেদের শেষ ম্যাচে লেবাননের বিপক্ষে ১-১ ড্র করেছিল বাংলাদেশ)। ২০২৪ সালে সেখান থেকে শুরু করতে চাই। এই বছর যেন আরও ভালো করতে পারি, সেভাবে প্রস্তুত হতে বলেছেন কোচ।”