দ্বিতীয়ার্ধের ’১৫ মিনিট’ ডুবিয়েছে, দায় নিয়ে বললেন আবাহনী কোচ

চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবকে অভিনন্দন জানালেন আবাহনী লিমিটেডের এই পর্তুগিজ কোচ।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 May 2023, 02:13 PM
Updated : 30 May 2023, 02:13 PM

২-০ ব্যবধানে এগিয়ে থাকার তৃপ্তি নিয়ে বিরতিতে গেল আবাহনী। বিরতি থেকে ফিরে চার মিনিটের মধ্যে দুই গোল হজম করে বসল তারা। এরপর উত্থান-পতনের হাজারো বাঁক পেরিয়ে ফেডারেশন কাপের ফাইনাল গড়াল টাইব্রেকারে। সেখানে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহামেডানের কাছে হেরে বসল দল। ম্যাচ শেষে হতাশ আবাহনী কোচ মারিও লেমোস হারের অনেক কারণ খুঁজে পেলেন। তবে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুর ওই ’১৫ মিনিট’ নিয়েই তার আফসোস বেশি।

কুমিল্লার শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার ফেডারেশন কাপের ফাইনালে টাইব্রেকারে আবাহনীকে ৪-২ গোলে হারায় মোহামেডান। দেশের ফুটবলের ঐতিহ্যবাহী দুই দলের নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময়ের খেলা শেষ হয়েছিল ৪-৪ সমতায়।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই জয়ের ঘ্রাণ উবে যাওয়ায় খেলোয়াড়দের কাঠগড়ায় তুললেন লেমোস। হেরে যাওয়ায় এএফসি কাপে খেলার সুযোগ নষ্ট হওয়ার দায় নিজের কাঁধে তুলে নিলেন পর্তুগিজ কোচ।

“দ্বিতীয়ার্ধে আমাদের শুরুটা ছিল খুবই ধীরগতির। নিবেদনের কমতি ছিল, তীব্রতা কম ছিল। বিশেষ করে দ্বিতীয়ার্ধের ১৫ মিনিট। আমরা তাদের খেলায় ফেরার সুযোগ করে দিয়েছি। তারা সে-ই সুযোগ কাজে লাগিয়েছে। এমন ম্যাচে কোনো দল একবার এগিয়ে গেলে তখন সেখান থেকে জয় পাওয়া অনেক কঠিন। উত্থান-পতন ছিল, দুই দলেরই সমান সুযোগ ছিল। টাইব্রেকার ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দিয়েছে।”

“এই হারের দায়ভার আমিই নিচ্ছি। আমাদের এই ম্যাচে জয় পাওয়ার কথা ছিল। ট্রফি জেতার কথা ছিল। আমরা শিরোপা জয়ের জন্য যোগ্য দল ছিলাম। তবে আমরা পারিনি। এ দায় আমার। আমরাও ফাইনাল জয়ের কাছাকাছি ছিলাম। এটাই বাস্তবতা (আমরা হেরেছি)। অভিনন্দন মোহামেডান।”

মৌসুম জুড়েই চোটে ভুগেছেন রাফায়েল আগুস্তো দি সিলভা। তবে ব্রাজিলিয়ান এই মিডফিল্ডার ফাইনালে আলোও ছড়ালেন, আবার আঁধারেও ডুবলেন টাইব্রেকারে শট মিস করে। লেমোস মনে করেন, দিনটি তাদের ছিল না।

“রাফায়েল পুরোপরি ফিট ছিল না। ছোটখাট ইনজুরি তার ছিল। তবে সে আমাদের অধিনায়ক। তাই তাকে খেলানো হয়েছে। রাফায়েল তার সর্বোচ্চটা চেষ্টা করেছে। দিনটি আমাদের ছিল না।”

“টাইব্রেকারে দুটি শট মিস হবে এটা আমাদের প্রত্যাশার বাইরে ছিল। তবে এখানে গোলরক্ষককে কৃতিত্ব দিতে হয়। সে দারুণ সেভ করেছে।”

ফাইনালে মোহামেডান উড়েছে মূলত সুলেমানে দিয়াবাতের কাঁধে সওয়ার হয়ে। মালির এই ফরোয়ার্ড চার গোল করেন। টাইব্রেকারেও পান জালের দেখা। দিয়াবাতের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেন আবাহনী কোচ।

“দিয়াবাতে খুবই ভালো খেলোয়াড়। পাঁচ বছর ধরে বাংলাদেশে রয়েছে। সে সেরা স্ট্রাইকারদের একজন। সে আজ তার মান দেখিয়েছে। বড় ম্যাচে নিজের সক্ষমতা দেখিয়েছে।”