পরাজয় কী, আর্জেন্টিনা যেন সেটা ভুলতেই বসেছিল। সেই তেতো স্বাদ তাদের মনে করিয়ে দিয়েছে উরুগুয়ে। দক্ষিণ আমেরিকার বাছাইয়ের ম্যাচে মার্সেলো বিয়েলসার দলের কৌশলী ফুটবলের কাছে হেরে গেছে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। পুরো দলের মতোই বিশেষ কিছু করতে পারেননি লিওনেল মেসিও। এতে প্রতিপক্ষের কৃতিত্ব দেখছেন এই তারকা ফরোয়ার্ড। আর্জেন্টিনা অধিনায়ক বলেছেন, তাদের স্বাভাবিক খেলাটাই খেলতে দেয়নি উরুগুয়ে।
বাছাইয়ের শুক্রবারের ম্যাচে আর্জেন্টিনার হার ২-০ গোলে। কাতার বিশ্বকাপ জেতার পর এই প্রথম হারল দলটি। সবশেষ হার ছিল ওই বিশ্বকাপেই, গ্রুপ পর্বে সৌদি আরবের কাছে ২-১ গোলে।
এরপর থেকে অপ্রতিরোধ্য গতিতে ছুটে চলে লিওনেল স্কালোনির দলকে থামিয়েছে উরুগুয়ে। মেসিকে নিয়ে বিশেষ পরিকল্পনা সাজিয়ে সফল হয়েছেন বিয়েলসা। মাঠে তার দল উপহার দিয়েছে লড়াকু ফুটবল।
তবে ম্যাচে ফাউলের সংখ্যাও কম ছিল না। ফলে বিরতি পড়েছে বারবার। খেলোয়াড়রাও মেজাজ হারিয়েছেন কয়েকবার। প্রথমার্ধে তেমন ভালো সুযোগ তৈরি করতে না পারা আর্জেন্টিনা দ্বিতীয়ার্ধে কিছু সুযোগ পেয়েছিল, তবে এই ম্যাচে ভাগ্যও তাদের সহায় ছিল না। তাই দীর্ঘ ১১ মাস পর হেরেই মাঠ ছাড়তে হয়েছে মেসি-দি মারিয়াদের।
আর্জেন্টিনাকে হারালেন এমন একজন কোচ, যিনি নিজেও আর্জেন্টাইন। দক্ষিণ আমেরিকার ফুটবল তো বটেই, ফুটবল বিশ্বেও সম্মানিত একটি নাম বিয়েলসা। স্বদেশির প্রতি শ্রদ্ধা প্রকাশ করেছেন মেসিও। পাশাপাশি ব্যক্ত করেছেন ঘুরে দাঁড়ানোর আশাবাদও।
“আপনি তাদের দলে তার (মার্সেলা বিয়েলসা) প্রভাব দেখতেই পাচ্ছেন। আর্জেন্টিনাসহ সব (জাতীয়) দল বা ক্লাবেই তার প্রভাব রয়েছে। তার একটা যাদু আছে। তারা খুব ভালো খেলেছে। আমাদের হারতেই হতো। এটা একটা পরীক্ষাও। এমনটা হতেই পারে এবং আমাদের ঘুরে দাঁড়িয়ে ব্রাজিলের বিপক্ষে ভালো খেলার চেষ্টা করতে হবে।”
বাছাইয়ের পরবর্তী ম্যাচে আগামী মঙ্গলবার আর্জেন্টিনার প্রতিপক্ষ চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিল। শুক্রবার দিনের অন্য ম্যাচে কলম্বিয়ার কাছে ২-১ গোলে হেরে গেছে পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরাও।
পয়েন্ট তালিকায় ৫ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে এখনও সবার ওপরে আর্জেন্টিনা। সমান ম্যাচে ১০ পয়েন্টে দুইয়ে উরুগুয়ে। আর ৭ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচে ব্রাজিল।