বাংলাদেশ ফুটবল
অনুশীলনে দিন যত পার হচ্ছে, ভুটানে শ্বাস নেওয়ার কষ্ট তত কমছে বলে জানালেন আরেক ফরোয়ার্ড ফয়সাল আহমেদ ফাহিম।
Published : 03 Sep 2024, 08:07 PM
এ বছর খেলা ছয় ম্যাচে প্রতিপক্ষের জালের নাগালই পায়নি বাংলাদেশ! সবশেষ গোলের দেখা মিলেছিল গত বছর, বিশ্বকাপ বাছাইয়ে লেবাননের বিপক্ষে। ১-১ ড্র হওয়া সেই ম্যাচের গোলদাতা ছিলেন শেখ মোরসালিন। ভুটান ম্যাচ সামনে রেখে এই ফরোয়ার্ডের কণ্ঠেও শোনা গেল গোল নিয়ে দুর্ভাবনা। বললেন, ডিফেন্ডার, মিডফিল্ডার কিংবা ফরোয়ার্ড- কে গোলদাতা, সেটা তার কাছে মুখ্য নয়, গুরুত্বপূর্ণ শুধু গোল পাওয়া।
ভুটান সফরে দুই প্রীতি ম্যাচের প্রথমটিতে আগামী বৃহস্পতিবার মাঠে নামবে বাংলাদেশ। স্বাগতিকদের বিপক্ষে হাভিয়ের কাবরেরার দল দ্বিতীয় ম্যাচ খেলবে আগামী রোববার। এ উপলক্ষে মঙ্গলবার ম্যাচের ভেন্যু চ্যাংলিমিথাং স্টেডিয়ামে প্রস্তুতি নিয়েছেন জামাল-মোরসালিন-ফাহিমরা।
সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ভুটানের উচ্চতা বেশি হওয়ার কারণে শ্বাস নিতে সমস্যা হচ্ছিল বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের। সময় গড়ানোর সাথে সাথে প্রতিকূল কন্ডিশনে অনেকটাই মানিয়ে নেওয়ার স্বস্তির খবর দিলেন ফরোয়ার্ড ফয়সাল আহমেদ ফাহিম।
“আজকে আমাদের দুই সেশন অনুশীলন হচ্ছে। আজ সবাই ভালোভাবে অনুশীলন করতে পেরেছে। গতকাল যেমন শ্বাস নিতে সমস্যা হয়েছে, আজকে সবার সেটা হয়নি। যেহেতু প্রস্তুতির জন্য আমাদের হাতে আরও একটা দিন সময় আছে, কাল যদি ভালোভাবে অনুশীলন করতে পারি, তাহলে আমাদের ভেতর থেকে এটা (শ্বাস সমস্যা) কেটে যাবে।”
সে সমস্যা হয়ত কেটে যাবে, কিন্তু খেলোয়াড়দের কথায় ঘুরেফিরে আসছে দীর্ঘ তিন মাস ছুটির পর মাঠে ফেরা, গতিময় টার্ফ- এমন বিষয়গুলো। ভুটান থেকে দুই ম্যাচ জিতে ফেরার তাড়নাও অবশ্য ফুটে উঠছে তাদের কথায়। ফরোয়ার্ড শেখ মোরসালিন যেমন সব দিক তুলে ধরে জানালেন ভালো ফলের আশাবাদ।
“আমরা দীর্ঘদিন খেলার বাইরে ছিলাম, ছুটিতে ছিলাম। তবে, কিছুদিন আগে আমাদের জুনিয়র টিম (অনূর্ধ্ব-২০ দল) চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। তো আমাদের কাছেও দেশের মানুষের একটা প্রত্যাশা আছে। আমরা চেষ্টা করব তাদের আশাহত না করতে।”
“শুরুর দিকে টার্ফে খেলতে একটু সমস্যা হচ্ছিল। তবে আস্তে আস্তে অনেকটা মানিয়ে নিয়েছি। খুব একটা সমস্যা…আসলে এখানে কোনো অজুহাত দেওয়া যাবে না। ওরাও খেলবে, আমরাও খেলব। আমাদের ৯০ মিনিট খেলতে হবে।”
জিততে হলে শুধু খেলাই যথেষ্ট নয়, গোলও প্রয়োজন, যেটা গত ছয় ম্যাচে মেটাতে পারেনি কেউ। বাংলাদেশের আক্রমণভাগের এই দুর্বলতা নিয়ে প্রশ্নও অনেক দিনের। গত সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে ভুটান ও মালদ্বীপের বিপক্ষে জালের দেখা পাওয়া মোরসালিন তাই নির্দিষ্ট কারো দিকে গোলের জন্য তাকিয়ে থাকতে চান না।
“লক্ষ্য বলতে, ম্যাচ দুটো আমাদের যেকোনভাবে জেতাটা গুরুত্বপূর্ণ। গোল যে-ই করুক, আমি করি, ডিফেন্ডার, মিডফিল্ডার, যে-ই করুক, আসলে গোল আমাদের দরকার। গোল করার জন্য যা যা করতে হয়, কোচ যেভাবে নির্দেশনা দিবেন, সে অনুযায়ী আমরা চেষ্টা করব।”
“চাপ অবশ্যই থাকবে। যেহেতু আমাদের জিততে হবে, গোল করতে হবে, করাতে হবে, তো চাপ ওভাবে না নিয়ে, বরং চাপ না নিয়ে যদি করতে পারি, তাহলে আশা করি ভালো হবে। আবহাওয়া ও সবকিছুর সাথে মানিয়ে নিতে কিছুদিন আগে এখানে চলে এসেছি। এখানে সবকিছু আস্তে আস্তে ইতিবাচক হচ্ছে। সামনে দুইটা ম্যাচ। আমরা একটা একটা করে চিন্তা করব। এই দুইটা ম্যাচ নিয়ে আমরা খুব আশাবাদী।”