ছুটি পেলে খেলোয়াড়রা এখন আর শুয়ে-বসে দিন পার করেন না, বলছেন বাংলাদেশ গোলরক্ষক।
Published : 28 Aug 2022, 09:51 PM
জাতীয় ফুটবল দলের ব্যস্ততা আগের চেয়ে বেড়েছে। ফিফা উইন্ডোতে নিয়মিত ম্যাচ খেলছে বাংলাদেশ। খেলোয়াড়দের মানসিকতায়ও এসেছে বড় পরিবর্তন। গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকো বললেন, এখন ছুটিতে তারা শুয়ে-বসে দিন পার করেন না। কাজ করেন ফিটনেস নিয়ে।
কম্বোডিয়া ও নেপালের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ সামনে রেখে রোববার দ্বিতীয় দিনের মতো অনুশীলন করেছে হাভিয়ের কাবরেরার দল। অনুশীলনের ফাঁকে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হন জিকো। এ সময় ফিটনেস ইস্যুতে খেলোয়াড়রা আগের চেয়ে অনেক পেশাদার বলে জানান তিনি।
গত ৩১ জুলাই শেষ হয় প্রিমিয়ার লিগ। এরপর থেকে ফুটবলাররা ছিলেন ছুটিতে। প্রীতি ম্যাচ দুটির জন্য ২৭ ফুটবলারকে ক্যাম্পে ডেকেছেন স্প্যানিশ কোচ কাবরেরা। রোববার দ্বিতীয় দিনের অনুশীলনে খেলোয়াড়দের ফিটনেসের দিকেই নজর ছিল তার।
মাঝে বড় বিরতি পড়লেও মানিয়ে নিতে সমস্যা হচ্ছে না বলে জানালেন জিকো।
“আগে ব্রেক দিলে ফিটনেসে অনেক সমস্যা হতো, রানিং করতে সমস্যা হতো। কিন্তু আজ আমরা অনেক হাই ইনটেনসিটি নিয়ে অনুশীলন করেছি। কারও কোনো সমস্যা হয়নি, কারণ আমরা এখন অনেক পেশাদার। সবাই ওভাবেই প্রস্তুতি নিয়ে থাকে।”
জিকো বর্তমান বাস্তবতার কথা তুলে ধরেন। এখন আর ছুটি পেলে হেলায় দিন কাটানোর সুযোগ নেই বলে মনে করেন তিনি।
“সামনে ম্যাচ আছে, আমরা এটা অনেক আগেই শুনেছি। ক্লাব থেকেও আমাদের শিডিউল দিয়েছিল। সেই অনুযায়ী আমরা ফিটনেস নিয়ে কাজ করেছি। আশা করি আমাদের খেলোয়াড়দের কোনো সমস্যা হবে না। সবাই ছুটিতে ছিল, কিন্তু এর মধ্যেও অনেকে জিম করেছে, রানিং করেছে। ফিটনেস ধরে রাখার চেষ্টা করেছে।”
“আগে যেটা হতো, অনেক দিন পর রেস্ট পেয়েছি, ট্রেনিং না করে শুয়ে থাকা বা ঘুরাঘুরি করে সময় পার করতাম। মনোযোগ খেলার দিকে রাখতাম না। কিন্তু এখন যেহেতু জানি ফিফা উইন্ডোতে ম্যাচ থাকবে, এটা মাথায় রেখেই ছুটি কাটানোর চেষ্টা করেছি।”
কম্বোডিয়া ও নেপাল ম্যাচ সামনে রেখে তিন সপ্তাহ অনুশীলন ক্যাম্প করবে দল। কাবরেবা প্রথম সপ্তাহের অনুশীলনে ফিটনেসেই জোর দিচ্ছেন বেশি। ডিফেন্ডার টুটুল হোসেন বাদশা জানালেন সেটিই।
“এখন কোচ আমাদের ফিটনেসের ওপরই নজর দিচ্ছেন বেশি। যেহেতু আমরা প্রায় ২৫ দিন ফুটবলের বাইরে ছিলাম। কোচ চাচ্ছেন প্রথম সপ্তাহটা ফিটনেস নিয়ে কাজ করতে। দ্বিতীয় সপ্তাহে যাবেন ম্যাচ প্রস্তুতিতে।”
বাংলাদেশ সবশেষ আন্তর্জাতিক ফুটবল খেলেছে গত জুনে, এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে। তিন ম্যাচের তিনটিতেই অবশ্য হেরেছিল দল।
তবে কম্বোডিয়া ও নেপালের বিপক্ষে জয়ের স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ। যদিও ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে দুই দলই বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে। বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থান ১৯২। কম্বোডিয়া ১৭৪ ও নেপাল ১৭৬তম স্থানে।
এশিয়া কাপ বাছাইয়ের দল আর এই দুই দলের শক্তির পার্থক্যের কথা তুলে ধরে জিকো শোনালেন জয়ের স্বপ্নের কথা।
“এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে অনেক ভালো দলের সাথে খেলেছি। চাপ ছিল অনেক। সামনের দুই ম্যাচের প্রতিপক্ষ আমাদের সমমানের। চেষ্টা করব বিল্ড আপ ফুটবল খেলার। সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে দুই ম্যাচই জিততে পারব।”
আগামী ২২ সেপ্টেম্বর কম্বোডিয়া ও ২৭ সেপ্টেম্বর নেপালের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ। দুটি ম্যাচই কাবরেরার দল খেলবে প্রতিপক্ষের মাঠে।