ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ
ঘরের মাঠে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ খেলাটা টনি ক্রুসের কাছে বিশেষ কিছু।
Published : 11 Jun 2024, 07:52 PM
কাগজে-কলমে এখনও রেয়াল মাদ্রিদের খেলোয়াড় টনি ক্রুস। তবে এরই মধ্যে সান্তিয়াগো বের্নাবেউ থেকে বিদায় নিয়ে ক্লাব ক্যারিয়ারের ইতি টেনেছেন এই জার্মান মিডফিল্ডার। আসছে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ দিয়ে বুট জোড়া একেবারে তুলে রাখবেন তিনি। ঘরের মাঠে আসরটি হওয়ায় জার্মানিকে ঘিরে সমর্থকদের চাওয়াও বেশি। আর প্রত্যাশা মানেই বাড়তি চাপ! সেটা স্বীকার করে নিয়েই ক্রুস বললেন, এই চাপ উপভোগ করতে চান তিনি। লক্ষ্য অবশ্য একটাই- ট্রফি উঁচিয়ে ধরে শেষটা রাঙানো।
আগামী ৩০ জুন রেয়ালের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে ক্রুসের। স্প্যানিশ চ্যাম্পিয়নদের মৌসুম শেষ হয়ে গেছে এই মাসের শুরুতেই। বের্নাবেউয়ে এক দশকের অধ্যায়ের শেষটা ট্রফি জিতেই রাঙিয়েছেন দলটির অনেক সাফল্যের নায়ক ক্রুস। ক্লাবের হয়ে শেষ ম্যাচে জিতেছেন চ্যাম্পিয়ন্স লিগ।
আগামী শুক্রবার জার্মানিতে শুরু হবে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের সপ্তদশ আসর। এই টুর্নামেন্টে চোখ রেখেই কোচ ইউলিয়ান নাগেলসমানের ডাকে সাড়া দিয়ে গত ফেব্রুয়ারিতে অবসর ভেঙে আন্তর্জাতিক ফুটবলে ফেরার ঘোষণা দেন ক্রুস। ক্লাব ফুটবলে সম্ভাব্য সব শিরোপাই জিতেছেন তিনি। জার্মানির হয়ে জিতেছেন ২০১৪ বিশ্বকাপ। তবে ইউরো জয়ের স্বাদ এখনও পাওয়া হয়নি তার।
গত তিনটি আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট জার্মানির জন্য কেটেছে চরম হতাশায়। টানা দুটি বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নেওয়ার মাঝে ২০২০ ইউরোর শেষ ষোলোয় থামে চারবারের বিশ্বকাপ জয়ীদের পথচলা। এবার ইউরো ঘরের মাঠে বলেই দলটিকে ঘিরে সমর্থকদের প্রত্যাশা বেশি।
উদ্বোধনী দিনে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে জার্মানির অভিযান। মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে ৩৪ বছর বয়সী ক্রুস বললেন, চাপ জয় করে এগিয়ে যেতে চান তারা।
“এই টুর্নামেন্টে খেলতে পারাটা অনেক গর্বের ও আনন্দের। অবশ্যই চাপ আছে, কিন্তু একটা নির্দিষ্ট পরিমাণে চাপটা উপভোগ করতে হবে। এটা স্রেফ ফুটবল। অবশ্যই আমি জয়ের জন্য ক্ষুধার্ত, অন্যথায় আমি ফেরার সিদ্ধান্ত নিতাম না। আমি এই টুর্নামেন্ট জিততে চাই। ঘরের মাঠে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ খেলা আরও বিশেষ কিছু।”
টুর্নামেন্টে শুরুটা ভালো করা খুব গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন ক্রুস। তবে স্কটিশদের বিপক্ষে লড়াইটা যে সহজ হবে না, ভালো করেই জানেন তিনি।
“আমাদের প্রথম ম্যাচটি ইতিবাচকভাবে খেলতে হবে। আমরা জানি, কোন ধরনের প্রতিপক্ষের মুখোমুখি হচ্ছি, স্কটল্যান্ড খুব যন্ত্রণাদায়ক হতে পারে। ম্যাচটি খুব কঠিন হবে।”
“আমাদের কাজ হবে ভালো খেলা। যেখানে আমাদের সমস্যা আছে, সেগুলো অবশ্যই কমিয়ে আনতে হবে। আমি জানি, দল হিসেবে আমাদের কতটা সম্ভাবনা আছে, আমরা যেকোনো প্রতিদ্বন্দ্বীকে হারাতে পারি।”