বাংলাদেশ ফুটবল
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলা হামজা চৌধুরীর বাংলাদেশের জার্সিতে খেলার সম্ভাবনায় উচ্ছ্বসিত অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া।
Published : 18 Jan 2025, 02:32 PM
বাংলাদেশ দলে যদি আরও তিন-চার জন হামজা চৌধুরী থাকত, তাহলে কী দারুণই না হতো! দেশের ফুটবলপ্রেমীদের থেকে এমন রোমাঞ্চের কথা শোনা যায়। একইরকম উচ্ছ্বাস এবার শোনা গেল অধিনায়ক জামাল ভুঁইয়ার কণ্ঠে।
কোচিং কোর্স শুরু করেছেন জামাল, মামুনুল ইসলামসহ অনেকে। নতুন পথচলা শুরুর ফাঁকে হামজা চৌধুরীকে নিয়ে কথা বলতে গিয়ে হামজার মতো শীর্ষ পর্যায়ে খেলার অভিজ্ঞতায় ঋদ্ধ আরও ‘তিন চার জন’ বাংলাদেশ দলে থাকলে সেটা কী দারুণই না হতো, মনে হচ্ছে তার।
“হামজার খেলা দেশের জন্য অনেক বড় বিষয়। কেননা, উনি সর্বোচ্চ পর্যায়ে, ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলছেন। তো হামজা আরো তিন-চারটা থাকলে দেশের জন্য ভালো না! হামজা এলে এটা সবার জন্য ভালো।”
প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলা হামজা ২০১৫ সালে যোগ দেন লেস্টার সিটিতে। পরের বছর ধারে যোগ দেন বার্টন অ্যালবিয়নে; সেখানে কাটান ২০১৭ পর্যন্ত। গত মৌসুমে ওয়াটফোর্ডে ধারে খেলেছেন ২৬ বছর বয়সী এই ফুটবলার।
অনেক দৌড়ঝাঁপের পর বাংলাদেশের হয়ে খেলার অনুমতি পেয়েছেন হামজা। বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এই ইংলিশ মিডফিল্ডারের গায়ে লাল-সবুজের জার্সি উঠতে পারে আগামী মার্চেই; ভারতের বিপক্ষে এশিয়ান কাপের বাছাইয়ের ম্যাচে।
চুক্তির নানা ‘ঘোরপ্যাঁচে’ পড়ে চলতি মৌসুমে ক্লাব ফুটবলে খেলতে পারছেন না জামাল। আবাহনীর সাথে চুক্তি নিয়ে জটিলতা কাটেনি, এ কারণে ব্রাদার্স ইউনিয়নের সাথে চুক্তি করেও খেলতে পারছেন না ৩৪ বছর বয়সী মিডফিল্ডার। দ্রুতই বিষয়গুলোর সমাধান হয়ে যাবে বলে আশা তার।
“আবাহনীর সাথে যে ইস্যুটা হয়েছে, সেটা হয়ে গেছে। এটা আমার ডিসিশন না, ওদের ডিসিশন ছিল। (লিগের দ্বিতীয় ভাগে কোন দলের হয়ে খেলব) ১০ দিনের ভিতরে সমাধান হয়ে যাবে। (এএফসি/ফিফার কাছে যাবেন কিনা?) দেখা যাক। এতদিন আমি ডেনমার্কে ছিলাম, ওখানে স্থানীয় পর্যায়ে খেলেছি ক্লাবে অনুশীলন করেছি।”
বাফুফের-এএফসি এ ডিপ্লোমা কোর্স (পার্ট-১) শুরু করেছেন জামাল। সাবেক ও বর্তমান খেলোয়াড় এবং প্রশিক্ষক মিলিয়ে মোট ২৪ জন এবারের কোর্সে অংশ নিচ্ছে। কোর্স শুরু হচ্ছে শনিবার থেকে।
এর আগে বাফুফের একাডেমির ক্ষুদে ফুটবলারদের সাথে সময় কাটালেন জামাল। তাদের অটোগ্রাফ দিলেন, ছবি তোলার দাবি মেটালেন। নিজের স্বপ্নের পানে ছোটার বার্তাও উঠতিদের দিলেন জামাল।
“এখানে বাচ্চারা আছে, যাদের স্বপ্ন আছে ফুটবলার হওয়ার। আমিও ওদের মতোই ছিলাম। আজকে যে আনন্দ ওদের মধ্যে দেখলাম, খুব ভালো লাগছে। আমারও আইডল ছিল, হয়ত এই বাচ্চারাও আমাকে আইডল মনে করে। গর্বের মুহূর্ত। আমি ওদেরকে বলব, নিজেদের স্বপ্ন অনুসরণ করতে হবে।”