আক্রমণের পাশাপাশি রক্ষণের ভুলও হারের কারণ বলে মনে করেন পিএসজি কোচ ক্রিস্তফ গালতিয়ে।
Published : 09 Mar 2023, 02:35 PM
দ্বিতীয় লেগের লড়াইয়ে বিশেষ কিছু করতে হতো পিএসজিকে। গোলের দারুণ কিছু সুযোগও এসেছিল, কিন্তু তা কাজে লাগাতে ব্যর্থ লিওনেল মেসি, কিলিয়ান এমবাপেরা। তাতে আবারও বিদায়ঘণ্টা বেজে গেছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে। দলটির কোচ ক্রিস্তফ গালতিয়ে মনে করেন, সুযোগগুলো নষ্ট না করলে ফলাফল ভিন্ন হতেও পারত।
ইউরোপ সেরার মঞ্চে শেষ ষোলোর দ্বিতীয় লেগে গত বুধবার বায়ার্ন মিউনিখের মাঠে ২-০ গোলে হেরে যায় পিএসজি। দুই লেগ মিলিয়ে ৩-০ গোলের অগ্রগামিতায় কোয়ার্টার-ফাইনালের টিকেট পেয়েছে জার্মান চ্যাম্পিয়নরা।
ম্যাচের শুরু থেকেই বায়ার্নকে চেপে ধরেছিল পিএসজি। দ্বিতীয় মিনিটে এমবাপের শট ঠেকিয়ে দেন বায়ার্ন গোলরক্ষক ইয়ান সমের। এরপর ১৯তম মিনিটে আবার সুযোগ পান ফরাসি তারকা, এবার তিনি মারেন বাইরে।
সুযোগ নষ্টের মিছিলে এদিন যোগ দেন দলের মহাতারকা মেসিও। ২৫তম মিনিটে ডি বক্সে বিপজ্জনক জায়গায় বল পান বিশ্বকাপ জয়ী এই ফুটবলার। তবে তার তিনটি শট জটলার মধ্য থেকে ফিরিয়ে দেন বায়ার্নের খেলোয়াড়রা। শেষ পর্যন্ত গ্লাভসে নিতে পারেন সমের।
পরের সময়েও সমের বাঁধা ডিঙাতে পারেননি কেউ। ৩৮তম মিনিটে আশরাফ হাকিমির চ্যালেঞ্জের মুখে সমের তালগোল পাকালে বল পেয়ে যান ভিতিনিয়া। কিন্তু দুর্বল শটে ফাঁকা জালে বল পাঠাতে পারেননি তিনি। দারুণ স্লাইডে গোললাইন থেকে ফিরিয়ে দেন মাটাইস ডি লিখট।
ম্যাচ শেষে পুরো ম্যাচে নিজেদের সুযোগ নষ্টের মহড়া নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেন গালতিয়ে। ফরাসি কোচ বলেন, গোলের সামনে আরও কার্যকর হওয়া উচিত ছিল তাদের।
“এটা ভীষণ হতাশাজনক। আমরা যখন সুযোগ পেয়েছি, তখন গোল করতে পারিনি। আমরা প্রথমার্ধে ভালো করেছি, অনুভব করেছি যে আমরা প্রতিপক্ষের সঙ্গে তাল মেলাতে পারি। কিন্তু আমরা আমাদের সুযোগগুলো কাজে লাগাতে পারিনি।”
“আমি জানি না, এখান থেকে কিছু শেখার আছে কিনা, তবে হতাশা আছে অনেক। আমরা যদি প্রথমে গোল করতাম, তাহলে সেটা অন্যরকম হতো, কিন্তু আমরা তা করতে পারিনি।”
গত সাত বছরের মধ্যে এই নিয়ে পঞ্চমবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগে শেষ ষোলো থেকে বিদায় নিল পিএসজি। এবারের ব্যর্থতায় আক্রমণের পাশাপাশি রক্ষণের ভুলও দেখছেন পিএসজি কোচ।
“প্রথম প্রথম যে গোলটি হজম করেছি এই পর্যায়ে তা খুবই বাজে ছিল। আপনি যখন এক ঘণ্টা খেলার পর (লড়াইয়ে) পিছিয়ে থাকেন, তখন তা কঠিন পরিস্থিতি।”
“আমাদের এটা মোকাবেলা করতে হবে এবং মেনে নিতে হবে। ড্রেসিংরুমে অনেক হতাশা আছে।”