Published : 20 Jan 2023, 06:22 PM
কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদী এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা করেছে একদল লোক। এ ঘটনার পর গ্রামবাসী সন্দেহভাজন লোকের তিনটি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়।
বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার রামদী ইউনিয়নের মুজরাই মধ্যপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসকর্মীরা আগুন নেভান এবং উত্তেজিত গ্রামবাসীকে শান্ত করেন।
নিহত আবুবকর (৫৭) মুজরাই মধ্যপাড়া গ্রামের আব্দুস সোবহানের ছেলে।
কুলিয়ারচর থানার ওসি মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা বলেন, তাৎক্ষণিক পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। আবুবকরের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ জেলা সদর আধুনিক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
রামদী ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. আসাদ মিয়া এবং ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য নূরজাহান বেগম জানান, কয়েক দিন আগে একটি দুর্ঘটনায় আহত হন স্থানীয় বীর কাশিমনগর ফেদাউল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা হাসিনা বেগম। আহত শিক্ষককে দেখতে মুজরাই মধ্যপাড়া গ্রামে যায় ওই বিদ্যালয়ের চারজন শিক্ষার্থী। শিক্ষিকার বাড়িতে যাওয়ার সময় রাস্তায় ছাত্রীদের উদ্দেশ্য করে অশ্লীল ভাষায় ইভটিজিং করে ওই গ্রামের কয়েকজন ‘বখাটে কিশোর’।
নূরজাহান বেগম জানান, শিক্ষার্থীরা বিষয়টি তাদের শিক্ষক হাসিনা বেগমকে জানালে তিনি প্রতিবেশী আবুবকরের স্ত্রী আনিছা বেগমকে জানান। আনিছা বেগম বিষয়টি নিয়ে উত্ত্যক্তকারী এক কিশোরের বাবার কাছে বিচার দেন।
আসাদ মিয়া বলেন, এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে কয়েকজন কিশোর আবুবকরের বাড়ি গিয়ে আনিছা বেগমকে অকথ্য ভাষায় গালগাল করে। এ সময় আনিছার স্বামী আবুবকর সেখানে এলে তারা কৃষক আবুবকরকে এলোপাতাড়ি মারতে থাকে। এতে আবুবকর অজ্ঞান হয়ে পড়লে তারা চলে যায়।
স্থানীয়রা আবুবকরকে উদ্ধার করে বাজিতপুরের ভাগলপুরে জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ সংবাদ এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজিত গ্রামবাসী তিন কিশোরের বাড়িতে হামলা করে এবং আগুন ধরিয়ে দেয়।
এ ঘটনায় এখনও থানায় কেউ মামলা দায়ের করেনি এবং কেউ আটকও হয়নি বলে জানিয়েছেন কুলিয়ারচর থানার ওসি মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা।