মুক্তা ও মাইশার মরদেহ মুক্তার বাবার বাড়িতে এবং বিল্লালকে তার মামার বাড়িতে দাফন করা হয়।
Published : 12 Apr 2024, 12:56 PM
ঢাকার সদরঘাটে লঞ্চের রশি ছিড়ে নিহত একই পরিবারের তিনজনের লাশ পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলায় দাফন করা হয়েছে।
শুক্রবার সকালে ঢাকা থেকে মঠবাড়িয়া উপজেলার দাউদখালী ইউনিয়নের দ্রেবত্র গ্রামে বিল্লাল, তার স্ত্রী মুক্তা ও মেয়ে মাইশার লাশ নেওয়া হয়।
মুক্তা ও মাইশার মরদেহ মুক্তার বাবার বাড়িতে এবং বিল্লালকে মামার বাড়িতে দাফন করা হয় বলে জানান মুক্তার ভাই জাহাঙ্গীর হোসেন।
নিহত বিল্লালের চাচাত ভাই কামরুল মুন্সি জানান, বিল্লাল স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে ঢাকার গাজীপুরে থাকতেন। সেখানে একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন তিনি।
“ঈদের ছুটি কাটাতে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বাড়ি আসার জন্য ঈদের দিন সদরঘাটে এসেছিল।”
বৃহস্পতিবার ঈদের দিন বেলা ৩টার দিকে সদরঘাটের পন্টুনে থাকা একটি লঞ্চকে অপর একটি লঞ্চ ধাক্কা দিলে রশি ছিঁড়ে আঘাতে একই পরিবারের তিনজনসহ পাঁচজনের মৃত্যু হয়।
নিহতরা হলেন- পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া থানার মাটিচোরা গ্রামের মৃত আব্দুল মালেকের ছেলে বিল্লাল (২৫), তার স্ত্রী মুক্তা (২৬), তাদের মেয়ে মাইশা (৩); পটুয়াখালী সদরের জয়নাল আবেদিনের ছেলে রিপন হাওলাদার (৩৮) এবং ঠাকুরগাঁও সদরের নিশ্চিতপুর এলাকার আব্দুল্লাহ কাফীর ছেলে রবিউল (১৯)।
নিহত মুক্তা খাতুন ৬ মাসের অন্তঃস্বত্ত্বা ছিলেন।
পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান জানান, নিহতদের পরিবারের সদস্যদের সহযোগিতায় জেলা প্রশাসন কাজ করেছে।
এই দুর্ঘটনায় পাঁচজনকে আসামি করে একটি মামলা হয়ছে। আর ঘটনা তদন্তে বিআইডব্লিউটিএ তিন সদস্যদের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এছাড়া এমভি ফারহান-৬ ও এমভি তাসরিফ-৪ নামের দুই লঞ্চের রুট পারমিটও বাতিল করা হয়েছে।