“সোহেলের বাবা বার বার জ্ঞান হারাচ্ছেন। তাকে কোনোভাবেই সান্ত্বনা দেওয়া যাচ্ছে না।“
Published : 23 Mar 2024, 04:39 PM
কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলায় মেঘনা নদীতে ট্রলারডুবির ঘটনায় যে তিনজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে তাদের মধ্যে ভৈরব হাইওয়ে থানার কনস্টেবল সোহেল রানার স্ত্রী ও মেয়ে রয়েছে। এ ঘটনায় নিখোঁজ রয়েছেন আরও পাঁচজন।
ভৈরব থানার ওসি শফিকুল ইসলাম জানান, শনিবার বেলা ২টার দিকে কিশোরগঞ্জের ভৈরব সংলগ্ন দুর্ঘটনাস্থলের কাছে নদী থেকে কনস্টেবল সোহেল রানার স্ত্রী মৌসুমি (২৫) ও মেয়ে মাহমুদার (৭) লাশ উদ্ধার করা হয়।
এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যায় কিশোরগঞ্জের ভৈরব সংলগ্ন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার চরসোনারামপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। উদ্ধার করা আরেকটি লাশ এক নারীর বলে পুলিশ জানালেও তার নাম-পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেনি।
নিখোঁজ পাঁচজনের মধ্যে সোহেল রানা (৩৫) ও তার ছেলে রাইসুল (৫) রয়েছে বলে জানিয়েছেন ওসি শফিকুল; বাকিদের বিষয়ে জানা যায়নি।
পুলিশ জানায়, শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে ভৈরব ব্রিজের নিচ থেকে ইঞ্জিনচালিত ট্রলার নিয়ে মেঘনা নদীতে বেড়াতে বের হন কয়েকজন। তাদের মধ্যে কনস্টেবল সোহেল রানা ও তার পরিবারও ছিল।
ইফতারের আগ মুহূর্তে ট্রলারটি চরসোনারামপুর এলাকায় পৌঁছালে একটি বালুবোঝাই বাল্কহেডের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ডুবে যায়। এ সময় ১২ যাত্রী সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও সোহেল রানা ও তার পরিবারের সদস্যসহ আটজন নিখোঁজ হন।
কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার ফতেহাবাদ গ্রামের আব্দুল আলিমের ছেলে সোহেল রানা ২০১১ সালে কনস্টেবল পদে নিয়োগ পান। ট্রলার ডুবির খবরে তার পরিবারের সদস্য ও স্বজনদের আহাজারি চলছে।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে সোহেলের মা-বাবা রাতেই ভৈরবে যান। এ সময় দেবিদ্বার উপজেলার ফতেহাবাদ ইউনিয়নের ১ নম্বর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য নরুল ইসলাম তাদের সঙ্গে ছিলেন।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে নরুল বলেন, “সোহেলের বাবা বার বার জ্ঞান হারাচ্ছেন। তাকে কোনোভাবেই সান্ত্বনা দেওয়া যাচ্ছে না।“
কিশোরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন কর্মকর্তা আবু জর গিফারী বলেছেন, খবর পেয়ে থেকে রাতেই পাঁচজনের ডুবুরিদল ঘটনাস্থলে যায়। শনিবার সকাল ৬টা থেকে তারা নিখোঁজদের সন্ধানে নদীতে অভিযান শুরু করেছেন।
তবে মেঘনায় তীব্র স্রোত থাকায় উদ্ধার কাজে বেগ পেতে হচ্ছে বলে জানান তিনি।