রেজিস্ট্রারের অপসারণসহ চার দফা দাবিতে মঙ্গলবার থেকে শিক্ষার্থীরা লাগাতার আন্দোলন করেছে।
Published : 27 Apr 2025, 07:09 PM
চার দফা দাবিতে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের কুশপুতুল দাহ করা হয়েছে। এ ছাড়া শিক্ষার্থীরা তার দপ্তরে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে।
শিক্ষার্থীরা রোববার দুপুর ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাউন্ড ফ্লোরে কুশপুতুল দাহ শেষে মিছিল নিয়ে রেজিস্ট্রারের দপ্তরে গিয়ে তালাবদ্ধ করে দেয়।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলাম ভোলার মনপুরা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি। তিনি জুলাই আন্দোলনে বিরোধিতাকারীদের অন্যতম। তাকে অপসারণসহ চার দফা দাবিতে মঙ্গলবার থেকে শিক্ষার্থীরা লাগাতার আন্দোলন করেছেন।
চার দফা দাবির মধ্যে রয়েছে- ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক মুহসিন উদ্দিনের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপমানজনক অপবাদ প্রত্যাহার করে সিন্ডিকেট ও একাডেমিক কাউন্সিলের পদে পুনর্বহাল, চুক্তিভিত্তিক নিয়োগপাপ্ত রেজিস্ট্রার মো. মনিরুল ইসলামকে অপসারণ, ফ্যাসিবাদ ও স্বৈরাচারের দোসর শিক্ষকদের লাভজনক কমিটি থেকে অপসারণ এবং ফ্যাসিবাদের দোসরদের পুনর্বাসন করায় উপাচার্যকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে।
চার দফা দাবিতে বৃহস্পতিবার উপাচার্য অধ্যাপক শুচিতা শরমিনকে দুইদিনের আল্টিমেটাম দেওয়া হয়। কিন্তু উপাচার্য তাদের দাবির প্রতি কোনো গুরুত্ব দিচ্ছেন না। রেজিস্ট্রারকে দাপ্তরিকভাবে অপসারণ করা না হলে তালা খোলা হবে না।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী সাবেক ছাত্রদল নেতা মোশারফ হোসেন ও রাকিন খান বলেন, শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবি নিয়ে আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোনো কর্নপাত না করায় রেজিস্ট্রারের দপ্তরে তালা দেওয়া হয়েছে। রেজিস্ট্রারকে ১২ ঘণ্টার মধ্য অপসারণ করতে হবে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক মামুন অর রশিদ বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান যে অস্থিরতা তার সমাধান উপাচার্যের কাছে। রেজিস্ট্রারকে অপসারণ করে এর সমাধান করতে পারেন উপাচার্য।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম রব্বানী বলেন, “শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে এই বিষয়টি দ্রুত সমাধান করতে পারেন উপাচার্য নিজেই।”
উপাচার্য অধ্যাপক শুচিতা শরমিন বলেন, “তালা দেওয়ার বিষয়টি আমি শুনেছি। গুটি কয়েক শিক্ষার্থী এ আন্দোলন করছে। তাদের সবাই চিনে। তাদের বিরুদ্ধে সময় হলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”