মেঘনায় ট্রলার ডুবিতে নিহত বেড়ে ৩, নিখোঁজ এখনও ৫

মেঘনা নদীতে স্রোতের তীব্রতায় উদ্ধার কাজে বেগ পোহাতে হচ্ছে বলে জানান কিশোরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার।

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 March 2024, 08:48 AM
Updated : 23 March 2024, 08:48 AM

মেঘনা নদীতে বালুভর্তি বাল্কহেডের ধাক্কায় ট্রলার ডুবির ঘটনায় আরও দুই জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে তিন হয়েছে। এখনো নিখোঁজ পাঁচজন। 

শনিবার বেলা ২টার দিকে কিশোরগঞ্জের ভৈরব সংলগ্ন দুর্ঘটনাস্থলের কাছে নদী থেকে এক নারী ও এক কিশোরীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কিশোরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক এনামুল হক। 

তবে লাশ উদ্ধার হওয়া দুজনের পরিচয় নিশ্চিত করেননি তিনি। 

এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যায় কিশোরগঞ্জের ভৈরব সংলগ্ন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার চরসোনারামপুর এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন ভৈরব ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার আজিজুল হক রাজন।

তিনি জানান, সন্ধ্যা ৬টার দিকে ভৈরব ব্রিজের নীচ থেকে ইঞ্জিনচালিত ট্রলার নিয়ে মেঘনা নদীতে ঘুরতে বের হন কয়েকজন। ইফতারের আগ মুহূর্তে ট্রলারটি চরসোনারামপুর এলাকায় পৌঁছালে একটি বালুবাহী বাল্কহেডের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ডুবে যায়। 

এ সময় ১২ যাত্রী সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও আটজন নিখোঁজ হন। পরে অজ্ঞাত পরিচয় এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। বাকিরা নিখোঁজ ছিলেন। 

তারা হলেন- ভৈরব হাইওয়ে থানার কনস্টেবল সোহেল রানা (৩২), তার স্ত্রী মৌসুমি (২৫), তাদের মেয়ে মাহমুদা (৭) ও ছেলে রায়সুল (৫), আরাদ্ধ, বেলাল দে ও আনিকা আক্তার। 

স্টেশন অফিসার রাজন আরও জানান, খবর পেয়ে ভৈরব ফায়ার সার্ভিস ও নৌফাঁড়ির সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার কাজ শুরু করেন। পরে বেশি রাত হওয়ায় উদ্ধারকাজ বন্ধ রাখা হয়। 

কিশোরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আবু জর গিফারী বলেন, কিশোরগঞ্জ থেকে রাতেই পাঁচ জনের ডুবুরিদল ঘটনাস্থলে গিয়েছেন। শনিবার সকাল ৬টা থেকেই তারা নিখোঁজদের সন্ধানে নদীতে অভিযান শুরু করেছেন। 

তবে মেঘনা নদীতে স্রোতের তীব্রতায় উদ্ধার কাজে বেগ পোহাতে হচ্ছে বলে জানান তিনি।