এ সময় চিকিৎসক শামসুদ্দিন আহমদ, চিকিৎসক শ্যামল কান্তি লালাসহ অন্তত ১১ জন শহীদ হন।
Published : 10 Apr 2024, 12:24 AM
নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে সিলেট মেডিকেল কলেজে একাত্তরের গণহত্যার শিকার শহীদদের স্মরণ করা হয়েছে। এ সময় এ গণহত্যার রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দাবি করেন বক্তারা।
১৯৭১ সালের ৯ এপ্রিল সিলেট মেডিকেলে যা বর্তমান শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতাল হিসেবে পরিচিত সেখানে গণহত্যা চালায় পাকিস্তানি বাহিনী। এ সময় চিকিৎসক শামসুদ্দিন আহমদ, চিকিৎসক শ্যামল কান্তি লালাসহ অন্তত ১১ জন শহীদ হন।
প্রতি বছরের মতো এবারও যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালনের উদ্যোগ নেয় নাগরিক মৈত্রী নামের একটি সংগঠন।
এর অংশ হিসেবে সকালে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে একটি র্যালি বের হয়ে বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে গিয়ে শেষ হয়।
সেখানে সিলেট সিটি করপোরেশন, শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতাল, কিডনি ফাউন্ডেশন, ধরিত্রী রক্ষা আন্দোলন, পরিবেশ ও ঐতিহ্য রক্ষা ট্রাস্ট, ছাত্র ইউনিয়ন, যুব ইউনিয়নসহ বিভিন্ন সংগঠন পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানায়।
পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা এবং নাগরিক মৈত্রীর উদ্যোগে ৯ এপ্রিলের গণহত্যা নিয়ে তৈরি প্রকাশনার মোড়ক উন্মোচন করা হয়৷
সভায় বক্তারা বলেন, কর্তব্যরত অবস্থায় এভাবে হত্যাকাণ্ড নজিরবিহীন। ডা. শামসুদ্দিন আহমদ, লালাসহ সবার আত্মত্যাগে এ দেশ স্বাধীন হয়েছে। স্বাধীনতার অর্ধশতক পার হলেও এই হত্যাকাণ্ডের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি৷ যা লজ্জার।
অবিলম্বে এই হত্যাকাণ্ডের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দাবি করেন বক্তারা।
নাগরিক মৈত্রীর আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সমর বিজয় শী শেখরের সভাপতিত্বে এ সময় বক্তব্য দেন ও উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. রফিকুল হক, বিএমএ মহাসচিব এহতেশামুল হক চৌধুরী দুলাল, সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া, নর্থ ইস্ট ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ইলিয়াস উদ্দিন বিশ্বাস, কবি ও লোক সংস্কৃতি গবেষক অধ্যাপক আবুল ফতেহ ফাত্তাহ, সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এমাদউল্লাহ শহীদুল ইসলাম শাহীন, বিএমএ সিলেটের সভাপতি মো. রুকনউদ্দীন আহমদ, পরিবেশ ঐতিহ্য সংরক্ষণ ট্রাস্টের সভাপতি ডা. মোস্তফা শাহ জামান চৌধুরী বাহার, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ফারুক উদ্দিন, সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আল আজাদ, লন্ডন বাংলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম বাসন, প্রবাসী কমিউনিটি নেতা স্বরূপ শ্যাম চৌধুরী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সৈয়দ মনির হেলাল, ধরিত্রী রক্ষায় আমরা কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আব্দুল করিম কীম, শহিদ পরিবারের সদস্য ফরিদা নাসরীন, সমাজকর্মী রোমেনা বেগম রুজি, রেজাউল কিবরিয়া চৌধুরী লিমন, রাজনৈতিক সংগঠক অ্যাডভোকেট গোলাম সোবহান চৌধুরী দীপন, আকবেট সিলেটের নির্বাহী পরিচালক আসাদুজ্জামান সায়েম, প্রভাষক রাজীব দে চৌধুরী, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ মনির উদ্দিন, অ্যাডভোকেট মোস্তাকিম আহম্মদ কাওছার, কর আইনজীবী মো. জহিরুল ইসলাম রিপন, বাংলাদেশ যুব ইউনিয়ন সিলেট জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান, প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক শুভ্র দে, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন সিলেট জেলা সংসদের অভ্রভেদী সন্দীপ, শ্রাবন দাস, কবি মিজবা জামিল।