বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন কলা ও মানবিকী অনুষদ ভবনের শিক্ষক লাউঞ্জে বৃহস্পতিবার বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এ দাবি জানান।
Published : 01 Dec 2022, 07:02 PM
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রলোভন দেখিয়ে ছাত্রীর সঙ্গে ‘অনৈতিক সম্পর্ক’ গড়ে তোলার অভিযোগ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক।
বৃহস্পতিবার বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন কলা ও মানবিকী অনুষদ ভবনের শিক্ষক লাউঞ্জে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান তারা।
পাবলিক হেলথ এন্ড ইনফরমেটিকস বিভাগের এই শিক্ষকের সাময়িক বরখাস্তও দাবি করেন এই শিক্ষকরা।
সংবাদ সম্মেলনে এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ তদন্তের জন্য স্ট্রাকচারাল কমিটি গঠন, ওই শিক্ষককে সব পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত এবং তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়।
আগামী ৮ ডিসেম্বরের মধ্যে স্ট্রাকচারাল কমিটি গঠন করা না হলে আন্দোলনের হুমকি দেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মানস চৌধুরী বলেন, নিজের পদ ব্যবহার করে এবং রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে ছাত্রীর সাথে যৌন সম্পর্ক স্থাপন এবং শিক্ষক হিসেবে নিয়োগে প্রভাব বিস্তারের মতো গুরুতর অভিযোগ রয়েছে এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এছাড়া আরেক ছাত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করার পর গর্ভপাত ঘটাতে বাধ্য করেছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।
“বিশ্ববিদ্যালয়ের সংবিধি অনুযায়ী এগুলো নৈতিকস্খলন ও অসদাচরণজনিত অপরাধ,” বলেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক আনিছা পারভীন জলি, জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক কামরুল আহসান, জাবি শিক্ষক সমিতির কার্যকরি কমিটির সদস্য অধ্যাপক সোহেল রানা, কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান চয়ন, পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক জামাল উদ্দিন রুনু ও অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক ফাহিমা আল ফারাবি উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতিয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রফ্রন্ট দুটি আলাদা বিবৃতিতে সহকারী প্রক্টর এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ তদন্ত করে শাস্তির দাবি জানিয়েছিল।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওই শিক্ষক বলেন, “এসব তথ্য মিথ্যা ও বানোয়াট। বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অংশ আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে। সাইবার ক্রাইম ইউনিটের সাথে পরার্মশ করেছি। অচিরেই এদের বিরুদ্ধে দেশের প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের ২১ জন শিক্ষক এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্ত দাবি করে একটি আবদনে স্বাক্ষর করেছেন।
লিখিত আবেদনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, যৌন নিপীড়ন বিরোধী সেল ও জাবি শিক্ষক সমিতির কাছে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নূরুল আলমের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করে পাওয়া যায়নি।