উপস্থিতি টের পেয়ে কয়েকজন পালিয়ে গেলেও তিনজনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় র্যাব।
Published : 25 Jan 2024, 12:31 PM
কক্সবাজারে উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন গহীন পাহাড়ে ‘আরসার আস্তানা’য় অভিযান চালিয়ে বিপুল আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলিসহ বিভিন্ন সরঞ্জামাদি উদ্ধার করেছে র্যাব। এ সময় মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠীটির তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ভোরে উপজেলার ২০ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বর্ধিত অংশের পেছনের লাল পাহাড়ে এই অভিযান চালানো হয় বলে জানান র্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন।
গ্রেপ্তাররা হলেন- আরসার শীর্ষ গান কমান্ডার উসমান, মাইন তৈরিতে পারদর্শী নেছার আহমদ ও গুলি চালাতে পারদর্শী মো. ইমান। তারা উখিয়া উপজেলার বিভিন্ন ক্যাম্পের বাসিন্দা ও আরসার নানা দায়িত্ব প্রাপ্ত সদস্য ।
সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ২০ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন গহীন পাহাড়ে দুষ্কৃতকারীদের একটি দল আস্তানা গড়ে তুলে দীর্ঘদিন ধরে নানা অপরাধ সংঘটন করছে খবরে বুধবার গভীর রাতে র্যাবের একটি দল অভিযান চালায়।
তিনি বলেন, কয়েক ঘণ্টা ধরে চালানো অভিযানের এক পর্যায়ে সন্দেহজনক আস্তানাটি ঘিরে ফেলে র্যাব সদস্যরা। উপস্থিতি টের পেয়ে কয়েকজন সন্ত্রাসী পালিয়ে গেলেও তিনজনকে আটক করতে সক্ষম হয়।
“পরে আস্তানাটি তল্লাশি করে দেশি-বিদেশি ২২টি অস্ত্র, চারটি মাইন, মাইন তৈরির সরঞ্জাম, এ কে ৪৭সহ বিভিন্ন অস্ত্রের ১০০টি গুলি উদ্ধার করা হয়।”
তিনি বলেন, গ্রেপ্তাররা জানান, তারা দিনের বেলা অবস্থান করেন ওই পাহাড়ের আস্তানায়। যেখান রয়েছে দেশি-বিদেশি অস্ত্র, গুলি ও মাইন। যা নিয়ে রাতে ক্যাম্পে হামলা করে।
র্যাবের এ কর্মকর্তা বলেন, “আরকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা) সদস্যরা গহীন পাহাড়ে আস্তানাটি গড়ে তুলেছিল। আরসা প্রধান আতাউল্লাহর নির্দেশে ক্যাম্পে গড়ে তোলা হয় ১২টি গান গ্রুপ। যারা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নাশকতা করছে।”
এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা দিয়ে গ্রেপ্তারদের উখিয়া থানায় পাঠানো হয়েছে বলে জানান র্যাবের এই কর্মকর্তা।
গত বছর কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলো থেকে আরসার ৮৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।