নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
Published : 30 Jul 2022, 09:11 PM
আগামী জাতীয় সংসদ ‘নির্বাচনের ট্রেন’ কারো জন্য অপেক্ষা করবে না বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
শনিবার নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘সব দলের অংশগ্রহণে একটি উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন হোক সেটিই আমরা চাই। আমরা আশা করি, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করবে।
“তবে নির্বাচনের ট্রেন কারো জন্য দাঁড়িয়ে থাকবে না। ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনের ট্রেন কারো জন্য দাঁড়িয়ে ছিল না। একইভাবে ২০২৪ সালে যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে সে নির্বাচনের ট্রেনও কারো জন্য দাঁড়িয়ে থাকবে না।”
এ সময় বিএনপির সমালোচনা করে হাছান মাহমুদ বলেন, “বিএনপি এখন হারিকেন নিয়ে মিছিল করছে। তাদের ওই মিছিল দেখে আমার হঠাৎ মনে হলো, বিএনপির দলীয় প্রতীক বদলে গেল কি-না, হারিকেন হয়ে গেল কি-না?”
“তাদের এমন হারিকেন মিছিলে জনগণ আশঙ্কায় আছে; কারণ ওই হারিকেন আবার কখন পেট্রলবোমা হয়ে যায়।”
দুপুরে কেন্দ্রীয় অতিথিদের নিয়ে জাতীয়, দলীয় পতাকা উত্তোলন, বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দেওয়ান কামাল আহমেদ।
জলঢাকা উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক গোলাম মোস্তফার সভাপতিত্বে সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন দলের সাংগঠনিক সম্পাদক (রংপুর বিভাগ) সাখাওয়াত হোসেন শফিক, উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, কার্যনির্বাহী সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া, সাবেক সংসদ সদস্য সফুরা বেগম রুমি, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মমতাজুল হক, আব্দুল আউয়াল শামীম। অধিবেশন সঞ্চালনা করেন জলঢাকা উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মো. জয়নাল আবেদীন।
২০০৪ সালের ২৩ নভেম্বর জলঢাকা উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ওই সম্মেলনে আনছার আলী মিন্টু সভাপতি এবং শহীদ হোসেন রুবেল সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। পরে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে পদ হারান দুই নেতা।
উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা জানান, বিকাল ৪টায় চলমান কমিটি বিলুপ্ত করে সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন সমাপ্ত করা হয়। এরপর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ বিভিন্ন পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর জীবনবৃত্তান্ত সংগ্রহ করে দ্বিতীয় অধিবেশনের সভা মূলতবী ঘোষণা করা হয়।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দেওয়ান কামাল আহমেদ বলেন, পদপ্রত্যাশীদের জীবনবৃত্তান্ত জমা নেওয়া হয়েছে। এসব বিচার-বিশ্লেষণ করে কেন্দ্রের মতামতের ভিত্তিতে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন করা হবে।