জাতীয় নির্বাচনের আগে সিটির দিকে সবার নজর থাকায় সুষ্ঠু নির্বাচন করার বিষয়ে বদ্ধপরিকর নির্বাচন কমিশন।
Published : 11 Jun 2023, 09:51 AM
অংশগ্রহণমূলক সংসদ নির্বাচনের প্রচেষ্টার মধ্যে আরও দুটি সিটি করপোরেশনের নির্বাচন হচ্ছে সোমবার।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ, বিরোধী দল জাতীয় পার্টি, জাকের পার্টি ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থীসহ স্বতন্ত্র প্রার্থী এই দুই সিটিতে ভোটের লড়াইয়ে থাকলেও বিএনপি না থাকায় অনেকটা প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন আরেকটি নির্বাচন হতে যাচ্ছে।
তবে জাতীয় নির্বাচনের আগে সিটির দিকে সবার নজর থাকায় সুষ্ঠু নির্বাচন করার বিষয়ে বদ্ধপরিকর নির্বাচন কমিশন।
সোমবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলবে দক্ষিণের এই দুই নগরে। সবকেন্দ্রে ইভিএমে ভোট হবে এবং থাকবে সিসি ক্যামেরার নজরদারি। নির্বাচন কমিশনও কেন্দ্রীয়ভাবে তা পর্যবেক্ষণ করবে।
এবার বরিশাল ও খুলনা সিটি নির্বাচনের প্রচারে কোনো বড় ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার খবর মেলেনি। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যেও ছিল না তেমন পাল্টাপাল্টি অভিযোগ।
বরিশালে মেয়র পদে নৌকার প্রতিদ্বন্দ্বি হিসেবে জাতীয় পার্টির প্রার্থী থাকলেও ক্ষমতাসীনদের ‘দ্বন্দ্বের’ মধ্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থীও আলোচনায় রয়েছেন।
সরকারের উন্নয়ন ধারা অব্যাহত রাখতে নৌকা প্রতীকে ভোট দিতে নগরবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের মেয়র পদপ্রার্থী আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ ওরফে খোকন সেরনিয়াবাত।
অন্যদিকে মেয়র নির্বাচিত হলে নিজে চুরি করবেন না, কাউকে চুরি করতেও দেবেন না বলে প্রতিজ্ঞা করেছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী ইকবাল হোসেন তাপস।
জ্বালানি হিসেবে গ্যাসের অভাবে কাঙ্ক্ষিত শিল্প-কারখানা গড়ে না ওঠায় ভোলা থেকে গ্যাস সংযোগের দাবি পূরণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার অঙ্গীকার করেছেন ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম।
খুলনায় আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক নগরীকে আধুনিক, পরিবেশবান্ধব ও স্মার্ট হিসেবে গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
এই সিটিতে বিএনপির কেউ মেয়র পদে প্রার্থী না হলেও দলটির অন্তত আট নেতাকর্মী কাউন্সিলর পদে প্রার্থী হয়েছেন। নির্বাচনে আছেন জামায়াতে ইসলামীর পাঁচ নেতাকর্মীও।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতারা ইতোমধ্যে বলেছেন, বিএনপি ভোটে না থাকলেও তাদের প্রার্থীদের অনেকে স্বতন্ত্র হয়ে লড়ছেন। অবশ্য বিএনপি বলেছে, এ ধরনের কোনো কৌশলে নেই তারা।
বরিশালে ৭ মেয়র প্রার্থী, দল ও প্রতীক
মো. আলী হোসেন হাওলাদার (স্বতন্ত্র, হরিণ)।
মিজানুর রহমান বাচ্চু (জাকের পাটি, গোলাপফুল)।
আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ (বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, নৌকা)।
মো. ইকবাল হোসেন (জাতীয় পার্টি, লাঙ্গল)।
মো. আসাদুজ্জামান (স্বতন্ত্র, হাতি)।
মো. কামরুল আহসান (স্বতন্ত্র, টেবিল ঘড়ি।
মুফতী সৈয়দ মো. ফয়জুল করিম: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, হাত পাখা।
ভোট তথ্য: বরিশাল
ভোটার ২ লাখ ৭৬ হাজার ২৯৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৮৯ জন এবং নারী ১ লাখ ৩৮ হাজার ৮০৯ জন।
পদ: মেয়র একজন, ৩০ জন সাধারণ কাউন্সিলর, ১০ জন সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর।
ভোটকেন্দ্র ১২৬ ও ভোটকক্ষ ৮৯৪টি।
ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা: প্রতিটি সাধারণ কেন্দ্রে ১৬ জন এবং প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ১৭ জন।
আইন শৃঙ্খলা: পুলিশ, এপিবিএন ও ব্যাটালিয়ান আনসারের সমন্বয়ে মোবাইল ফোর্স ৩০টি, স্ট্রাইকিং ফোর্স ১০টি, রিজার্ভ স্ট্রাইকিং ফোর্স ৩টি; র্যাবের ১৬টি টিম এবং বিজিবি ৭ প্লাটুন।
নির্বাহী হাকিম ৪৩ জন ও বিচারিক হাকিম ১০ জন।
রিটার্নিং অফিসার: ইসির নিজস্ব কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির।
আগের তিনবার বরিশালের ফল
২০০২ সালের ২৫ জুলাই বরিশাল সিটি কর্পোরেশনে উন্নীত হয়। ২৫ বর্গকিলোমিটার থেকে বর্ধিত হয়ে এখন এর আয়তন দাঁড়ায় ৫৮ বর্গকিলোমিটার। বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের বর্তমান লোকসংখ্যা প্রায় ৬ লাখ।
আওয়ামী লীগের শওকত হোসেন হিরণ ২০০৮ সালে, বিএনপির আহসান হাবিব কামাল ২০১৩ ও নৌকার প্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ ২০১৮ সালে মেয়র নির্বাচিত হন।
২০০৮ সালের ভোটে বরিশালের মেয়র পদে ১০ জন, কাউন্সিলর পদে ১৪৫ জন এবং সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৩৯ জন নির্বাচনে অংশ নেন। ভোটার ছিলেন এক লাখ ৭৯ হাজার ২৯৩ জন।
>> মেয়র পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী শওকত হোসেন হিরণ টেলিভিশন প্রতীকে ভোট পান ৪৬ হাজার ৭৯৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী পিডিপির সরদার সরফুদ্দিন আহমেদ ছাতা প্রতীকে পান ৪৬ হাজার ২০৮ ভোট। ভোট পড়ে ৮১.৯৯%।
২০১৩ সালে এ সিটিতে ভোটার ছিলেন ২ লাখ ১১ হাজার ২৫৭ জন। মেয়র পদে প্রার্থী ছিলেন তিনজন। সাধারণ ওয়ার্ডে ১৬৬ জন ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৪৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
>> মহাজোট সমর্থিত প্রার্থী ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি শওকত হোসেন হিরণকে ১৭ হাজারেরও বেশি ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে মেয়র হন ১৮ দলীয় জোট সমর্থিত জেলা বিএনপির সভাপতি আহসান হাবিব কামাল। ভোট পড়ে ৭২.১%।
২০১৮ সালে বরিশাল সিটিতে সেয়র পদে ৭ জন, সাধারণ কাউন্সিলর ৯৪ জন ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৩৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ভোটার ছিল ২ লাখ ৪২ হাজার ১৬৬ জন। ভোট পড়ে ৫৫% এর বেশি।
>> আওয়ামী লীগের সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি প্রার্থী মজিবর রহমান সরওয়ারকে ৮৭ হাজারের বেশি ভোটে হারান।
>> ওই নির্বাচনে ১২৩টি কেন্দ্রের মধ্যে গোলযোগ ও অনিয়মের কারণে ১৬টি স্থগিত হওয়ায় ৩০ জুলাই ভোটের দিন মেয়র প্রার্থী কাউকে বিজয়ী ঘোষণা করেননি রিটার্নিং কর্মকর্তা। পরে দুই দফা তদন্ত শেষে ১৬টি কেন্দ্রের মধ্যে ৯টি কেন্দ্রে পুনরায় ভোট গ্রহণের নির্দেশ দেয় কমিশন এবং ৩ অক্টোবর সাদিককে নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়। ১১৪টি কেন্দ্রের মধ্যে মেয়র পদে সাদিক পান ১ লাখ ১১ হাজার ৯৫৬ ভোট। আর তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির মজিবর রহমান সরোয়ার পান ১৩ হাজার ৭৭৬ ভোট।
খুলনা ৫ মেয়র প্রার্থী, দল ও প্রতীক
মো. আ. আউয়াল (ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, হাত পাখা)।
মো. শফিকুল ইসলাম মধু (জাতীয় পাটি, লাঙ্গল)।
তালুকদার আব্দুল খালেক (বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, নৌকা)।
এস এম শফিকুর রহমান (স্বতন্ত্র, টেবিল ঘড়ি)।
এস এম সাব্বির হোসেন (জাকের পার্টি, গোলাপ ফুল)।
খুলনা সিটি নির্বাচন: খালেক ও মধুর ভোট ‘নিজের’ টাকায়, ধার-দানে আউয়াল ও সাব্বিরের
ভোট তথ্য: খুলনা
ভোটার: ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৫২৯ জন। পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৬৮ হাজার ৮৩৩ জন; নারী ভোটার ২ লাখ ৬৬ হাজার ৬৯৬ জন।
পদ: একজন মেয়র, ৩১ জন সাধারণ কাউন্সিলর এবং ১০ জন সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর।
ভোটকেন্দ্র ২৮৯টি; ভোটকক্ষ ১৭৩২টি।
ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা: প্রতিটি সাধারণ কেন্দ্রে ১৬ জন এবং প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ১৭ জন।
আইন শৃঙ্খলা: পুলিশ, এপিবিএন ও ব্যাটালিয়ান আনসারের সমন্বয়ে মোবাইল ফোর্স ৩১টি, স্ট্রাইকিং ফোর্স ১১টি, রিজার্ভ স্ট্রাইকিং ফোর্স ৭টি; র্যাবের ১৬টি টিম এবং বিজিবি ৭ প্লাটুন।
নির্বাহী হাকিম ৪৪ জন ও বিচারিক হাকিম ১০ জন।
রিটার্নিং অফিসার: ইসির নিজস্ব কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দীন।
আগের পাঁচ বারে খুলনার ফল
১৯৮৪ সালের ১০ ডিসেম্বর সিটি করপোরেশন হওয়ার পর এটি হবে খুলনার ষষ্ঠ নির্বাচন।
১৯৯৪ ও ২০০২ সালে শেখ তৈয়বুর রহমান, ২০০৮ সালে তালুকদার আব্দুল খালেক, ২০১৩ সালে মো. মনিরুজ্জমান মনি ও ২০১৮ সালে ফের তালুকদার আব্দুল খালেক মেয়র হন।
সর্বশেষ ২০১৮ সালে প্রায় ৬৫ হাজার ভোটের ব্যবধানে নৌকার তালুকদার আব্দুল খালেক পরাজিত করেন ধানের শীষের নজরুল ইসলাম মঞ্জুকে।
>> এ নির্বাচনে নৌকা পায় ১ লাখ ৭৪ হাজার ৮৯১ ভোট আর শীষ প্রতীকে পায় ১ লাখ ৯ হাজার ২৫১ ভোট। প্রায় ৫ লাখ ভোটের এ সিটিতে ভোট পড়ার হার ছিল সেবার প্রায় ৬২%।
২০১৩ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত তালুকদার আব্দুল খালেককে পরাজিত করে খুলনার মেয়র হন বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী মনিরুজ্জামান মনি।
>> ১৮ দলীয় জোট সমর্থিত প্রার্থী বিএনপির মহানগর কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি বিজয়ী হন প্রায় ৬০ হাজার ভোটের ব্যবধানে। তিনি পান এক লাখ ৮০ হাজার ৯৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বিদায়ী মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক পান এক লাখ ১৯ হাজার ৪২২ ভোট।
>> মোট ৪ লাখ ৪০ হাজার ৫৬৬ জন ভোটারের মধ্যে ৩ লাখ ২ হাজার ৫১৯টি ভোট পড়ে। ভোটের হার ছিল ৬৮ দশমিক ৭০ শতাংশ।
২০০৮ সালে বিএনপি নেতা ও ভারপ্রাপ্ত মেয়র মনিরুজ্জামান মনিকে ২৫ হাজার ৮৩৬ ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে খুলনায় মেয়র হন আওয়ামী লীগ নেতা তালুকদার আব্দুল খালেক। এ নির্বাচনে ভোট পড়ে ৭৭.৮০%।
>> দুই সিটিতে ইসির নিজস্ব পর্যবেক্ষক ছাড়াও কয়েকশ’ স্থানীয় ও ঢাকার বিভিন্ন গণমাধ্যমের কর্মীরা ভোটের সংবাদ সংগ্রহে থাকবেন।
চার সিটির ভোট এবার দুই দিনে
সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে জরুরি অবস্থার মধ্যে ২০০৮ সালের ৪ অগাস্ট ছবিসহ ভোটার তালিকায় রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল ও সিলেট সিটি করপোরেশনে একসঙ্গে নির্বাচন হয়।
বিএনপি বর্জনের ঘোষণা দিলেও স্থানীয় বিএনপি নেতারা দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে ওই নির্বাচনে অংশ নেন। তাতে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীরা জয়ী হন।
পাঁচ বছর পরে ২০১৩ সালের ১৫ জুন এই চার শহরে সিটি ভোটে ক্ষমতাসীনদের ভরাডুবি হয় বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীদের কাছে।
সবশেষ ২০১৮ সালে একদিনে চার সিটি ভোট এক দিনে করার ধারা থেকে সরে আসে তৎকালীন ইসি। ওই বছর ৩০ জুলাই বরিশাল, রাজশাহী ও সিলেট সিটির ভোট হয়। আর খুলনা সিটির ভোট হয় ১৫ মে।
২০২৩ সালে এবার চার সিটির ভোট হচ্ছে দু’দিনে। এর মধ্যে বরিশাল ও খুলনা সিটি করপোরেশনের ভোট ১২ জুন এবং রাজশাহী ও সিলেট সিটি করপোরেশনের হবে ২১ জুন।
সংসদ নির্বাচনের আগে অনুষ্ঠেয় সব সিটিতে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আহসান হাবিব খান।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল সিটি নির্বাচন উপলক্ষে আইন শৃঙ্খলা সভা করেছেন। সভায় সিটি নির্বাচনে কোনো ধরনের শঙ্কা না থাকার বিষয়ে নিশ্চিত করা হয়েছে। এ ধারাবাহিকতায় ২৫ মে গাজীপুর সিটি নির্বাচনও শেষ হয়েছে। এ ভোটে নৌকার প্রার্থীকে হারিয়ে জিতেছে স্বতন্ত্র প্রার্থী।
গাজীপুরে স্বস্তির নির্বাচনের পর নির্বাচন কশিমনার আলমগীর বলেছেন, “শুধু গাজীপুর কেন, আমাদের সময়ে যত নির্বাচন হবে, সবগুলো একই মানের করার চেষ্টা করব। আমরা সবসময় বলেছি যে, নির্বাচনটা সুষ্ঠু হবে, সুন্দর হবে। আমাদের কাজ হল যেসব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে আসবে, তাদের সবাইকে সমান সুযোগ দেওয়া। যেটা আমাদের পক্ষ থেকে দিতে হবে এবং সবার জন্য সমান মাঠ রাখব। সবাই নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারেন সেই ব্যবস্থা আমরা করব।”
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল খুলনায় গিয়ে বলেছেন, নির্বাচনে সবার সমান সুযোগ থাকবে। নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে, কোনো পক্ষপাতমূলক নির্বাচন হবে না। ইভিএমের ফলাফল পরিবর্তনের ন্যূনতম সুযোগ নেই।
সিসিটিভির মাধ্যমে কেন্দ্রীয়ভাবে নির্বাচন মনিটর করা হবে জানিয়ে তিনি বলেছেন, কোনোভাবে ভোটারদের অধিকার খর্ব করা যাবে না।
আর অনিয়মের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে সতর্ক করে নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান বলেছেন, পক্ষপাতিত্বের কোনো সুযোগ নেই।