৩১ ডিসেম্বর সবাইকে নিজে অথবা প্রতিনিধির মাধ্যমে সশরীরে হাজির হয়ে লিখিত ব্যাখ্যা দেওয়ার নির্দেশ দেয় নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটি।
Published : 28 Dec 2023, 05:43 PM
পাবনা-৩ আসনে নৌকার প্রার্থীর প্রচারে অংশগ্রহণ করায় নয় শিক্ষককে তলব করেছে নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটি।
চাটমোহর, ভাঙ্গুড়া ও ফরিদপুর উপজেলা নিয়ে গঠিত এই আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সংসদ সদস্য মো. মকবুল হোসেন। এ ছাড়া ওই আসনের ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল হামিদ মাস্টার।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই আসনের নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ তাজউল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক নোটিশে এ তথ্য জানানো হয়।
শোকজে বলা হয়েছে, আপনি/আপনারা একজন শিক্ষক হয়ে মকবুল হোসেনের পক্ষে নৌকা প্রতীকের সমর্থনে তফশিল ঘোষণার পর হতে প্রকাশ্যে নির্বাচনি প্রচার পরিচালনা করছেন।
এ বিষয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থীর (ট্রাক প্রতীক) প্রধান এজেন্ট মো. আব্দুল ওয়াহিদ একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে সরেজমিনে অনুসন্ধান করে আপনার/আপনাদের বিরুদ্ধে প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োজিত একজন শিক্ষক হিসেবে নৌকা প্রতীকের পক্ষে সরাসরি প্রচার, প্রচারাভিযানসহ ভোট প্রার্থনার বিষয়ে অভিযোগের সত্যতা আপাতদৃষ্টে প্রতীয়মান হয়েছে।
সেখানে আরও বলা হয়, যা একটি নির্বাচন-পূর্ব অনিয়ম। আপনার/আপনাদের এমন কাজ সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০০৮ এর বিধি ১৪(২) এর লঙ্ঘন মর্মে দৃষ্ট হয়।
এমন আইনভঙ্গের কারণে কেন আপনার/আপনাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না- সে মর্মে আগামী ৩১ ডিসেম্বর (রোববার) সকাল ১১টায় উপস্থিত হয়ে নিজে অথবা প্রতিনিধির মাধ্যমে লিখিত ব্যাখ্যা দেওয়ার নির্দেশ প্রদান করা হলো।
শোকজপ্রাপ্তরা হলেন- ভাঙ্গুড়ার মাদারবাড়ীয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. আলমগীর হোসেন, সুলতানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. হাসানুজ্জামান স্বপন, খানমরিচ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. আব্দুল সোবাহান, চকদিগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. রফিকুল ইসলাম, চণ্ডিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. মিজানুর রহমান, সুলতানপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. শহিদুল ইসলাম, পুকুরপাড় আইডিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. জিয়াউর রহমান, একই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রওশন আলী এবং মণ্ডতোষ নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সকারী শিক্ষক মো. ফারুক আহম্মেদ।
এ বিষয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল হামিদ মাস্টার বলেন, “নির্বাচনের শুরু থেকেই নৌকার সমর্থকরা একের পর এক আচরণবিধি লঙ্ঘন করেই চলেছে। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনের কাছে সহায়তা চেয়ে আমি লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।”
নৌকার প্রার্থী মকবুল হোসেন বলেন, “আমি তো কাউকে বাধ্য করছি না, কেউ যদি স্বপ্রণোদিত হয়ে কাজ করেন, সেখানে আমার করণীয় কী?”
এ ব্যাপারে নির্বাচনে সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পাওয়া পুকুড়পাড় আইডিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রওশন আলী বলেন, “আমি এমন কোনো চিঠি এখনো পাইনি। কেউ হয়ত ষড়যন্ত্রমূলকভাবে অভিযোগ দিতে পারেন। এসব অভিযোগ মিথ্যা, সঠিক না। নির্বাচনে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্ব পেয়েছি কিন্তু কেন্দ্র এখনো বণ্টন করা হয়নি।”
সুলতানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. হাসানুজ্জামান স্বপন বলেন, “কোনো প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনি প্রচার করিনি। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে।”