সৌদি আরবে বাস দুর্ঘটনায় নিহত ১৮ বাংলাদেশির মধ্যে যশোরের নাজমুল ইসলাম একজন। নাজমুল এক বছর আগে সৌদি গিয়েছিলেন বলে তার ভাই জানান।
আটাশ বছর বয়সী নাজমুল সদর উপজেলার ঘুনি মাঠপাড়া গ্রামের কাওছার মোল্লার ছেলে।
এ ছাড়া সদর উপজেলার আরও দুজন একই দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন।
তারা হলেন: ঘুনি শাখারিপাড়া গ্রামের কাজী আনোয়ার হোসেনের ছেলে মোশারফ হোসেন (৩০) ও গফ্ফার মোল্লার ছেলে সুজন হোসেন (২৬)।
নাজমুল ইসলামের বড় ভাই কামরুল হোসেন জানান, এক বছর ২৫ দিন আগে সৌদি আরবে যান নাজমুল। সেখানে আভা খামিশ এলাকার একটি রেস্তোরাঁয় চাকরি করতেন তিনি। রমজান উপলক্ষে ১০ দিনের ছুটি পেয়ে ওমরাহ পালনের সিদ্ধান্ত নেন তার ভাই। সে উদ্দেশেই মক্কায় রওনা হয়েছিলেন নাজমুল।
কামরুল জানান, গত সোমবার রাতে তারা দুর্ঘটনার খবর পান। সৌদি আরবে তার আরও এক ভাই ও ভাগ্নে থাকেন।তারাই দুর্ঘটনায় নাজমুলের মৃত্যুর খবর দেন। এরপর থেকে তাদের বাড়িতে আহজারি শুরু হয়। তার মা খাদিজা বেগম একেবারে ভেঙে পড়েছেন।
কামরুল আরও জানান, নাজমুল এর আগে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই ছিলেন। সেখান থেকে চার বছর আগে দেশে ফেরেন। এর তিন বছর পর তিনি বিয়ে করেন। বিয়ের এক বছর পর কাজের উদ্দেশে সৌদি আরবে যান। তার কোনো সন্তান নেই।