মাইকেল মধুসূদন দত্তের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সাগরদাঁড়িতে ‘মধুমেলা’

মহামারীর কারণে দুই বছর মধুমেলা হয়নি; তাই এবারের অনুষ্ঠান ঘিরে কেশবপুরসহ আশপাশের এলাকায় উৎসব আমেজের সৃষ্টি হয়েছে।

যশোর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 Jan 2023, 08:30 AM
Updated : 26 Jan 2023, 08:30 AM

মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের ১৯৯ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তার জন্মস্থান যশোর কেশবপুরের সাগরদাঁড়ীতে সপ্তাহব্যাপী মধুমেলার আয়োজন করেছে জেলা প্রশাসন।

বুধবার রাতে মধুমেলার উদ্বোধন করেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।

আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত এ আয়োজন চলবে বলে জেলা প্রশাসক দপ্তরের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক হোসাইল শওকত জানান।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত ছিলেন বাংলা সাহিত্যের প্রথম বিদ্রোহী ও দেশপ্রেমিক কবি। তার সাহিত্য এবং জীবন পরস্পর এক সুতোয় গাঁথা। তার বিপ্লবের সূত্র ধরে এসেছিলেন নেতাজী সুভাস বসু।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন যশোর-২ আসনের সংসদ সদস্য মেজর জেনারেল (অব.) অধ্যাপক ডা. নাসির উদ্দীন, যশোর-৬ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার, পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম মিলন, কেশবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী রফিকুল ইসলাম।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক হুসাইন শওকত। স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এমএম আরাফাত হোসেন।

কেশবপুর পৌর মেয়র রফিকুল ইসলাম মোড়ল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এসএম রুহুল আমিন, প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন, সাগরদাঁড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমানও বক্তব্য রাখেন।

মাইকেল মধুসূদন দত্ত ১৮২৪ সালের ২৫ জানুয়ারি যশোরের কেশবপুর উপজেলার কপোতাক্ষ নদের তীরে সাগরদাঁড়ি গ্রামের জমিদার দত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ১৮৭৩ সালের ২৯ জুন কলকাতায় মারা যান মাইকেল।

মহামারীর কারণে গত দুই বছর মধুমেলা হয়নি। তাই এবারের অনুষ্ঠান ঘিরে কেশবপুরসহ আশপাশের এলাকায় উৎসব আমেজের সৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্ন এলাকার মানুষ মধুমেলা উপভোগের জন্য আসছেন।

তিনি ‘পদ্মাবতী’ নাটক, ‘একেই বলে সভ্যতা’ ও ‘বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রোঁ’ নামের দুটি প্রহসন, ‘ব্রজাঙ্গনা কাব্য’, ‘কৃষ্ণকুমারী’ নাটক, ‘বীরাঙ্গনা কাব্য’ ও ‘চতুর্দশপদী কবিতাবলী’ রচনা করেন। তার সর্বশ্রেষ্ঠ কীর্তি রামায়ণের উপাখ্যান অবলম্বনে রচিত মেঘনাদবধ কাব্য নামক মহাকাব্য।