নাটোরে বিএনপির সমাবেশের আগে ফাটল হাতবোমা

বিএনপির কর্মসূচি ও ছাত্রলীগের অবস্থান ছিল মুখোমুখি। দুই পক্ষ পরস্পরের প্রতি ইটপাটকেলও ছুড়তে থাকে। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।

নাটোর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 May 2023, 08:04 AM
Updated : 27 May 2023, 08:04 AM

সরকারের পদত্যাগসহ ১০ দফা দাবিতে বিএনপির কেন্দ্রঘোষিত কর্মসূচি পালনের আগে নাটোরে দুইটি হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটেছে। আরও দুটি উদ্ধার হয়েছে অবিস্ফোরিত অবস্থায়।

সরকারের পতন ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারসহ ১০ দাবিতে বিএনপির কর্মসূচিকে ঘিরে জেলায় দলটির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের ইট পাটকেল ছোড়াছুড়ির ঘটনাও ঘটেছে।

শনিবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে শহরের আলাইপুর এলাকায় সংগঠনটির অস্থায়ী কার্যালয়ের সামনে হাতবোমা বিস্ফোরণ হয় বলে জানিয়েছেন জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক শহীদুল ইসলাম বাচ্চু।

পরে বিদ্যুৎ অফিসের সামনে দুই পক্ষে কিছুক্ষণ ইট পাটকেল ছোড়াছুড়ি হয়।

হাতবোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় ছাত্রলীগকে দায়ী করে বিএনপি নেতা বাচ্চু বলেন, “কয়েকজন সকালে মোটরসাইকেলে এসে চারটি ককটেল ফেলে গেলে দুটি বিস্ফোরণ হয়।”

তবে নাটোর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি বলেন, “আমাদের কেউ সেখানে ককটেল রেখে আসেনি। বিএনপি কর্মীরাই সন্ত্রাস করতে ককটেল জমা করে রেখেছিল।”

সকাল ৮টার দিকে দুইটি অবিস্ফোরিত হাতবোমা উদ্ধার করেন ডিবি পুলিশের ওসি আব্দুল মতিন।

নাটোর সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহমুদা শারমিন নেলী বলেন, “আমরা পৌঁছানোর আগেই দুটি ককটেল বিস্ফোরণ হয়। আর দুটি ককটেল উদ্ধার করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আমরা কাজ করছি।”

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাছিম আহমেদ বলেন, “দুটি ককটেল উদ্ধার করে নিষ্ক্রিয় করা হবে। পুলিশের চেষ্টায় নাটোরের আইনি শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো আছে।“

পুলিশ এসে হাতবোমা উদ্ধারের আধা ঘণ্টার পর দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ শুরু করে বিএনপির নেতাকর্মীরা। এতে সরকারের কড়া সমালোচনা করে তাদের পদত্যাগ দাবি করেন নেতারা।

১০ দফা দাবিতে ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে শুক্রবার ১৯ জেলার পর শনিবার ১৫ জেলায় সমাবেশ করছে বিএনপি। গত কয়েক মাস ধরেই বিএনপির কর্মসূচির দিন মাঠে সক্রিয় থাকছে আওয়ামী লীগও। এই ১৫ জেলাতে ক্ষমতাসীন দলও রাজপথে সক্রিয় আছে।

নাটোরেও ‘বিএনপির নৈরাজ্যের’ অভিযোগে বৈঠা হাতে নিয়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে বিএনপি কার্যালয়ের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করে। তবে বিদ্যুৎ অফিসের সামনে তাদের পথরোধ করে পুলিশ। পরে সেখানেই বিএনপিবিরোধী স্লোগান দিতে থাকেন নেতা-কর্মীরা।

কিছুক্ষণ পর ছাত্রলীগ ও বিএনপির অবস্থানে থাকা নেতা-কর্মীরা একে অন্যের দিকে পাথর ও ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। তারা বিএনপির নেতা-কর্মীদেরকে দলীয় কার্যালয়ের ঢুকিয়ে দেয়। আধা ঘণ্টা পরে অবস্থান ছাড়ে ছাত্রলীগও।

বিএনপির নেতা বাচ্চু বলেন, “সমাবেশ শেষে বাড়িতে ফেরার পথে আমাদের সাতজন নেতা-কর্মীতে মারপিট করে আহত করা হয়েছে, তাদের দুইজনকে রাজশাহী মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে।“

তবে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে ছাত্রলীগ।