পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলায় বিয়ের অনুষ্ঠান শেষে বাড়ি ফেরার পথে ট্রলার ডুবিতে নিখোঁজ বর, তার মা ও এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখনও নিখোঁজ রয়েছে এক শিশু।
ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারী দলের দলনেতা মো. রেজওয়ান জানান, শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে বর ও তার মায়ের এবং বেলা ১১টার দিকে এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
পটুয়াখালী নদী ফায়ার স্টেশনের স্টেশন অফিসার রেজওয়ান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, সকালে গলাচিপা উপজেলার বদনাতলী লঞ্চঘাট সংলগ্ন তেতুলিয়া নদী থেকে ভাসমান অবস্থায় বর রাব্বি হাওলাদার (২০) ও তার মা সেলিনা আক্তার (৪০)’র মরদেহ উদ্ধার করে স্থানীয়রা ও জেলেরা। পরে তারা ফায়ার সার্ভিসের দলের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করেছে।
এ ছাড়া বেলা ১১টার দিকে দুর্ঘটনাস্থলের কাছে নদী থেকে শিশু খাদিজার (৫) মরদেহ উদ্ধার করে উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা।
ট্রলার ডুবির এ ঘটনায় এখনও মানসুরা (৮) নিখোঁজ রয়েছে বলে জানান ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা।
দশমিনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাফিসা নাজ নীরা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, নিখোঁজ শিশুটিকে উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিস ও কোস্ট গার্ড সদস্যরা উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে যাচ্ছে।
দশমিনা থানার ওসি মো. মেহেদী হাসান জানান, শুক্রবার বিকালে আউলিয়াপুর লঞ্চঘাট সংলগ্ন পয়েন্টে ঢেউয়ের কবলে পড়ে ট্রলারটি ডুবে যায়।
তিনি জানান, কয়েকদিন আগে উপজেলার রনগোপালদী ইউনিয়নের গুলি আউলিয়ার গ্রামের মনির হাওলাদারের ছেলে রাব্বি হাওলাদারের সঙ্গে চরবোরহান ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের হুমায়ুন মুন্সির মেয়ে সুমাইয়া আক্তারের বিয়ে হয়।
মঙ্গলবার বর স্বজনদের নিয়ে নববধূকে বাড়িতে আনতে গিয়েছিলেন। শুক্রবার ট্রলারে বাড়ি ফিরছিলেন তারা।
ট্রলারটিতে ১৫ জনের মত বরযাত্রী ছিলেন, ঘটনার পর অনেকে সাতরে তীরে উঠে আসতে পারলেও বরসহ পাঁচ জন পানিতে তলিয়ে যায়।
পরে বরের ফুফু উপজেলার উত্তর রনগোপালদী এলাকার ধলু হাওলাদারের স্ত্রী লিপি বেগমের (৩০) মরদেহ উদ্ধার করা হয় বলে জানান ওসি।
আরও পড়ুন: