চারবার সিটি নির্বাচন করে তিনবারই জিতলেন কামারুজ্জামানপুত্র।
Published : 21 Jun 2023, 10:51 PM
নির্বাচন হলেও রাজশাহী সিটি করপোরেশনে মেয়রের আসনে কোনো পরিবর্তন আসছে না। কেননা এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনই আবার ভোটে জিতেছেন।
তৃতীয়বার মেয়রের শপথ নিতে যাওয়া আওয়ামী লীগের এই নেতা বললেন, বেকারত্ব কমাতে এবার কর্মসংস্থান সৃষ্টিই তার অগ্রাধিকার।
বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর এ এইচ এম কামারুজ্জামানের ছেলে লিটন বর্তমানে ক্ষমতাসীন দলটির সভাপতিমণ্ডলীতে রয়েছেন।
সংসদ সদস্য হতে দুই বার ভোটে দাঁড়ালেও তার অভিজ্ঞতা সুখকর ছিল না। তবে সিটি নির্বাচনে ঘটছে তার বিপরীত।
২০০৮ সালে প্রথমবার মেয়র প্রার্থী হয়েই যুবদলের তখনকার রাজশাহী মহানগর সভাপতি মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলকে ১৩ হাজার ৮১০ ভোটে হারিয়ে দেন লিটন।
পাঁচ বছর মেয়রের দায়িত্ব পালন করলেও ২০১৩ সালের ভোটে এসে ফল উল্টে যায়। বুলবুলের কাছেই সেবার তিনি হারেন ৪৭ হাজার ভোটে।
তারপরও ২০১৮ সালে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি লিটনের উপরই ভরসা রাখে আওয়ামী লীগ। সেবার ৮৭ হাজার ভোটে সেই বুলবুলকে হারিয়ে দ্বিতীয়বার মেয়র হন লিটন।
এবার বিএনপির বর্জনের মধ্যে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে লিটনের জয়ী হওয়া অনুমেয়ই ছিল। বুধবার ভোটে তাই দেখা গেছে।
নৌকা প্রতীকে লিটন পেয়েছেন ১ লাখ ৬০ হাজার ২৯০ ভোট। বাকি মেয়র প্রার্থীদের ভোট তার কাছেধারেও নেই।
তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী আন্দোলনের মুরশিদ আলম হাতপাখা প্রতীকে পান ১৩ হাজার ৪৮৩ ভোট। এই দলটি ভোট বর্জন করলেও সেই ঘোষণা প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় পেরিয়ে যাওয়ার পর দিয়েছিল। ফলে ব্যালটে তাদের প্রার্থীর নাম থেকে যায়।
ভোটের ফল ঘোষণার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় লিটন বলেন, “ইশতেহারে যে কথাগুলো বলেছিলাম, সেগুলো ধরেই এগোতে হবে। এর জন্য আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সহযোগিতা চাই। কারণ, তার সহযোগিতা ছাড়া এগুলো বাস্তবায়ন করা সম্ভব না।
“এবার আমি কর্মসংস্থান তৈরি করতে চাই। সেটা আমি শুরু থেকেই বলেছি। তার জন্য যতদূর যাওয়া দরকার, সম্ভব আমি ততদূরই যাব।”
৯৬ বর্গকিলোমিটারের এ সিটি করপোরেশনকে সম্প্রসারণ করার জন্যও এবার কাজ করবেন বলেও জানান ক্ষমতাসীন দলের কেন্দ্রীয় এই নেতা।
৫৪ বছর বয়সী লিটন পড়াশোনা করেছেন কলকাতা ও রাজশাহী মিলিয়ে। আশির দশকের মাঝামাঝিতে সক্রিয় রাজনীতিতে আসেন তিনি।
১৯৯৬ সালে সপ্তম এবং ২০০১ সালে অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজশাহী-২ (পবা-বোয়ালিয়া) আসন থেকে নির্বাচনে অংশ নিয়ে পরাজিত হন।
কামারুজ্জামানপুত্রকে ২০২১ সালের ১৯ নভেম্বর আওয়ামী লীগের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সভাপতিমণ্ডলীতে অন্তৰ্ভুক্ত করা হয়।
লিটনের স্ত্রী শাহীন আক্তার রেনিও রাজনীতিতে যুক্ত। তিনি রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি। এই দম্পতির দুই মেয়ে; আনিকা ফারিহা জামান অর্ণা এবং মায়শা জামান শ্রেয়া।
বড় মেয়ে অর্ণা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপকমিটির সদস্য এবং রাজশাহী মহানগর কমিটির সদস্য। এর আগে তিনি ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কার্য নির্বাহী সংসদের সহ-সভাপতি এবং রাজশাহী বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক ছিলেন।