দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি সুমন দাসের বিরুদ্ধে এলাকায় চাঁদাবাজিসহ অত্যাচার-নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার দুপুরে দিনাজপুর প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে কয়েকজন এই অভিযোগ তুলে ধরেন।
লাভলী আরা নামে এক নারী লিখিত বক্তব্যে বলেন, গত ১৮ জুলাই রাতে সুমন দাসের নেতৃত্বে একদল লোক আমেনা বাকী স্কুলের সামনে তার চাকরীজীবি স্বামী আফতাবুজ্জামানকে আটক করে মারধর করে এবং পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। এ সময় এক পথচারীর মাধ্যমে মোবাইল ফোনে খবর পেয়ে টহল পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে।
“এ বিষয়ে আদালতে মামলা করলে তা তুলে নিতে এবার প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন সুমন দাস।”
সংবাদ সম্মেলনে অন্য একজন অভিযোগ করেন, “এলাকায় ডিশ এন্টেনা ব্যবসায়ী সেলিনা পারভীনের কাছে প্রতি মাসে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হচ্ছে। টাকা না দিলে ব্যবসা বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছেন সুমন দাস।
এছাড়া সোহেল মাহমুদ নামে এক রেস্তোরাঁ মালিক অভিযোগ করেন, “সুমন দাস ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে আমার হোটেল থেকে নেওয়া খাবারের এক লাখ ১০ হাজার টাকার বিল পরিশোধ করেননি। উপরন্তু এখন চাঁদা দাবি করা হচ্ছে আমার কাছে।”
সংবাদ সম্মেলনে লাভলী আরার দুই সন্তানসহ আরও কয়েকজন অভিযোগকারী ছিলেন।
অভিযোগ বিষয়ে জানতে সুমন দাসের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।
জেলা যুবলীগের সভাপতি রাশেদ পারভেজ বলেন, তিনি কয়েকটা অভিযোগ পেয়েছেন। সেগুলো কেন্দ্রীয় কমিটিতে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে তদন্ত করে সিদ্ধান্ত নেবেন তারা।
চিরিরবন্দর থানার ওসি বজলুর রশিদ অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
ওসি বলেন, “আদালতের মাধ্যমে আসা একটা মামলা থানায় রেকর্ড করা হয়েছে। তাছাড়া থানায় একটা জিডি হয়েছিল। সেটা আদালতে পাঠানো হয়েছে।”
তাছাড়া ২০২০ সালে আদালতে দুটি অভিযোগপত্র দেওয়া হয় জানিয়ে ওসি বলেন, দুটি মামলায়ই সুমন দাস প্রধান আসামি। মারামারিবিষয়ক মামলা দুটির বিচার চলছে আদালতে।