খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও বর্তমান রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা গ্রহণ করতে সোনাডাঙ্গা থানাকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
সোমবার খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক আব্দুস ছালাম এ আদেশ দেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ফরিদ আহমেদ।
আসামিরা হলেন সাবেক উপাচার্য মো. শহীদুর রহমান খান এবং বর্তমান রেজিস্ট্রার খন্দকার মাজহারুল আনোয়ার।
ফরিদ আহমেদ জানান, ভুক্তভোগী নারী আদালতে ধর্ষণের অভিযোগ করলে বিচারক সোনাডাঙ্গা থানার ওসি মমতাজুল হককে মামলা গ্রহণ করে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
উপাচার্য মো. শহীদুর রহমান খান খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব পালনের সময় অস্থায়ী অফিসে আবাসিকভাবে বসবাস করতেন।
মামলার আবেদনের বরাতে আইনজীবী ফরিদ আহমেদ বলেন, ধর্ষণের অভিযোগকারী ওই নারী প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টোর কিপার হিসেবে চাকরি শুরু করেন।
“পরে ওই নারীকে উপাচার্যের ব্যক্তিগত সহাকারী নিয়োগ দেওয়া হয়। সেখানে তাকে উপাচার্যের খাবার সরবারহের দায়িত্ব দেন রেজিস্ট্রার মাজহারুল আনোয়ার।”
২০২১ সালের ১৬ ডিসেম্বর খাবার পৌঁছে দিতে গেলে রেজিস্ট্রারের সহযোগিতায় উপাচার্য ওই নারীকে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, জানিয়েছেন ফরিদ আহমেদ।
তিনি আরও বলেন, “ধর্ষণের ঘটনা কাউকে জানালে চাকরি থেকে বহিষ্কারের ভয় দেখানো হয় ওই নারীকে। চাকরি ও সামাজিক অবস্থানের ভয়ে এতদিন বিষয়টি গোপন রাখেন তিনি।”
অভিযোগের বিষয়ে জানতে সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক মো. শহীদুর রহমান খানের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
অপর আসামি ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার খন্দকার মাজহারুল আনোয়ার বলেন, “ওই ঘটনা সম্পর্কে কিছুই জানি না। আর যদি এমন কোনো ঘটনা ঘটেই থাকে তাহলে সেটি ওই নারী ও উপাচার্যের একান্ত ব্যক্তিগত ব্যাপার।”
শহীদুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পদ থেকে গত বছরের ১০ সেপ্টেম্বর অবসরে যান।