প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি এবং বিএনপি-জামায়াতের নৈরাজ্যের প্রতিবাদে চৌদ্দগ্রাম বাজারে ডাকা বিক্ষোভ মিছিল ঘিরে দুপক্ষের উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
Published : 07 Jun 2023, 12:00 AM
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে আওয়ামী লীগের দুটি পক্ষ পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি দিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়েছে। এক পক্ষের ডাকা কর্মসূচিতে যাওয়ার সময় এক বীর মুক্তিযোদ্ধাকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করেছে প্রতিপক্ষ।
মঙ্গলবার সকালে উপজেলার কোমারডোগায় এই হামলার ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন বীরপ্রতীক খেতাবপ্রাপ্ত যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা বাহার উদ্দিন রেজা।
রাতে এই মুক্তিযোদ্ধা বলেন, আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি এবং বিএনপি-জামায়াতের নৈরাজ্যের প্রতিবাদে মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলা সদরের চৌদ্দগ্রাম বাজার এলাকায় বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করেন আওয়ামী লীগের একটি পক্ষের নেতাকর্মীরা।
ওই কর্মসূচিকে বানচাল করতে তাদের প্রতিপক্ষের নেতাকর্মীরা পাল্টা কর্মসূচির ঘোষণা দেয় এবং তারা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে অস্ত্রসহ অবস্থান নিয়ে যানবাহনে তল্লশি করেন, বলেন রেজা।
তিনি অভিযোগ করেন, “সকালে কুমিল্লা থেকে রওনা দিয়ে আমি মহাসড়ক হয়ে চৌদ্দগ্রামে যাচ্ছিলাম। চৌদ্দগ্রাম অংশে প্রবেশের সময় তাদের প্রথম ব্যারিকেডে পড়ে আমার গাড়ি; তারা প্রথমে আমার গাড়িতে কোপ দেয়। সেখান থেকে পার হয়ে কিছুদূর যেতেই তাজমহল হোটেলের সামনে তাদের আরেকটি ব্যারিকেডে পড়ি আমি।”
বাহার উদ্দিন রেজা বলেন, ওই স্থানে আসামাত্রই তারা তার গাড়িতে আক্রমণ করে। তখন প্রাণে বাঁচতে মহাসড়কের পাশের কোমারডোগা এলাকায় চলে যান। এ সময় একদল যুবক দেশীয় অস্ত্রসহ তার উপর হামলা করে।
“এক পর্যায়ে তারা রামদা দিয়ে আমার পায়ে কোপ দিয়ে আমাকে মাটিতে ফেলে দেয়। এরপর আমার পুরো শরীরে পিটিয়ে জখম করে। বারবার বলছিল তাদের নেতা নাকি আমাকে মেরে ফেলতে বলেছে।”
বাহার উদ্দিন রেজা দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, “আমি একজন খেতাবপ্রাপ্ত ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা। ভেবেছিলাম ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা অন্তত আমার গায়ে হাত তুলবে না। কিন্তু তারা আমাকে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে।
“আমি প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে এখন বাসায় আছি। একটু পরেই কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে যাব, শরীরটা খুবই খারাপ লাগছে।”
এ ব্যাপারে চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি জিএম মীর হোসেন মীরু বলেন, আওয়ামী লীগের বিপদগামী কিছু লোকজন বিএনপি-জামায়াতের লোকজনকে সঙ্গে নিয়ে শান্ত চৌদ্দগ্রামে বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করেছিল। চৌদ্দগ্রামের মানুষ তাদেরকে ধাওয়া দিয়ে উপযুক্ত শিক্ষা দিয়েছে। কারণ চৌদ্দগ্রামের মাটি ও মানুষের নেতা হলেন মুজিবুল হক।
আরও পড়ুন
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ৩ ঘণ্টা পর যান চলাচল শুরু
আওয়ামী লীগের ২ পক্ষের সংঘর্ষে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ