ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার কামারিয়া গ্রামে হিন্দু বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের মামলায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার শৈলকুপা থানার ওসি আমিনুল ইসলাম বলেন, হামলার ঘটনায় বাবুল নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বাড়ি রত্নাট গ্রামে। তিনি মামলার এজাহারভুক্ত আসামি।
রোববার রাতে হামলাকারীরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে গ্রামে ঢুকে প্রথমে চায়ের দোকানদার দেব কুমারের কাছে তিন লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে এবং মারধর শুরু করে। সার ব্যবসায়ী বিকাশ মণ্ডল লাঙ্গলবাঁধ বাজার থেকে ফিরছিলেন। তার কাছ থেকে এক লাখ ২০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় হামলাকারীরা। তাকেও মারধর করে।
এরপর হামলাকারীরা বিভিন্ন বাড়িতে ঢুকে গালিগালাজ করে ত্রাস সৃষ্টি করে। বিভিন্ন ঘরে ঢুকে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করে। আটটি বাড়িতে হামলা ও লুটপাট করা হয়।
এ ঘটনায় পরদিন সোমবার রাতে শৈলকুপা থানায় মামলা করেন ধলহরাচন্দ্র ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য রতন চন্দ্র কুন্ডু। মামলায় ৩২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ২৫-৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে। আসামিদের বাড়ি ঘটনাস্থল থেকে ৬-৭ কিলোমিটার দূরে বগুড়া ও রত্নাট গ্রামে।
পাশে থাকার আশ্বাস পুলিশের
এদিকে বুধবার দুপুরে জেলা পুলিশ সুপার মুনতাসিরুল ইসলাম কামারিয়া গ্রামে যান। তিনি যেসব বাড়িতে হামলা হয়েছে সেসব বাড়ি পরিদর্শন করেন এবং গ্রামের লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন।
এ সময় গ্রামের মন্দিরের সামনে এক সমাবেশে পুলিশ সুপার হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের উদ্দেশে বলেন, “আপনারা ভয় পাবেন না, আতঙ্কিত হবেন না। পুলিশ আপনাদের পাশে আছে। আপনাদের নিরাপত্তা দেওয়া হবে। যারা ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। অপরাধীরা শাস্তি পাবেই।”
সমাবেশে নবনির্বাচিত শৈলকুপা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম হাকিম আহমেদ, ধলহরাচন্দ্র ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে হামলায় আহতদের মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ১৩ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। এখনও দুজন চিকিৎসাধীন আছেন।
আরও পড়ুন: