পুলিশের কাছে আসামি মুনিরের ব্যাপারে তথ্য দেওয়ার অভিযোগ ছিল একই এলাকার দিনমজুর রহিজ মিয়ার বিরুদ্ধে।
Published : 30 Jan 2024, 05:55 PM
ছয় বছর আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলায় এক দিনমজুরকে হত্যার দায়ে এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত।
এছাড়া এ মামলায় ছয়জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা এবং নয়জনকে বেকসুর খালাস দিয়েছে আদালত।
মঙ্গলবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক আয়েশা আক্তার সুমি এ রায় ঘোষণা করেন বলে আদালত পুলিশের পরিদর্শক কাজী দিদারুল আলম জানান।
ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত জজ মিয়া কসবা উপজেলার মূলগ্রাম ইউনিয়নের নিমবাড়ি গ্রামের জমসেদ মিয়ার ছেলে। রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন না।
জজ পলাতক রয়েছেন জানিয়ে দিদারুল বলেন, প্রাণদণ্ডের পাশাপাশি তাকে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ডও দিয়েছেন বিচারক।
এছাড়া মামলার প্রধান আসামি জমসেদ মিয়ার ছেলে খোকন মিয়াকে এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন বিচারক। অনাদায়ে তাকে আরও দুই মাসের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।
জমসেদের আরও তিন ছেলে ইয়াছিন মিয়া, পারভেজ মিয়া, মনির মিয়া এবং স্থানীয় আওয়াল মিয়া, তার ছেলে আশরাফুলকে ছয়মাস করে সশ্রম কারাদণ্ড এবং দুই হাজার টাকা জরিমানা দেওয়া হয়েছে। অনাদায়ে তারা আরও একমাসের কারাদণ্ড ভোগ করবেন।
মামলার বরাতে আদালতের পুলিশের পরিদর্শক জানান, জমসেদ মিয়ার ছেলে মনিরের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকায় পুলিশ তাকে খুঁজছিল। পুলিশের কাছে মুনিরের ব্যাপারে তথ্য দেওয়ার অভিযোগ ছিল একই এলাকার দিনমজুর রহিজ মিয়ার বিরুদ্ধে।
এর জেরে ২০১৭ সালের ১০ এপ্রিল সকালে চাচা নাবাক সর্দার ও বড় ভাই ফায়েজ মিয়ার সঙ্গে বাড়ি ফেরার পথে তাদের উপর জমসেদের পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করে। এ ঘটনায় তিনজনকে কুপিয়ে রক্তাক্ত করা হলে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে রহিজকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
এ ঘটনায় রহিজের স্ত্রী নার্গিস বেগম বাদি হয়ে ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেন। তদন্ত শেষে একই বছরের ২৬ অক্টোবর পুলিশ একজন বাদে বাকিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করলে এ মামলার বিচারকাজ শুরু হয়।
অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় জমসেদসহ নয়জনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে বলে দিদারুল জানান।