এর ফলে ব্রি উদ্ভাবিত সর্বমোট ধানের জাতের সংখ্যা দাঁড়াল ১১৫টি।
Published : 10 Jan 2024, 09:41 PM
বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের উদ্ভাবিত অধিক প্রোটিন সমৃদ্ধ উচ্চ ফলনশীল বোরো মৌসুমের দুটি নতুন জাতের ধানের অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় বীজ বোর্ড।
মঙ্গলবার জাতীয় বীজ বোর্ডের ১১১তম সভায় ধানের জাতগুলো অনুমোদন দেওয়া হয়। এর ফলে ব্রি উদ্ভাবিত সর্বমোট ধানের জাতের সংখ্যা দাঁড়াল ১১৫টি।
নতুন দুটি জাত হলো ব্রি-১০৭ এবং ব্রি-১০৮। এদের মধ্যে প্রোটিনের পরিমাণ যথাক্রমে ১০.০২ এবং ৮.৮ শতাংশ। এর আগে ধানে সর্বোচ্চ ৮ থেকে ৮.২ শতাংশ প্রোটিন পাওয়া গেছে।
ব্রির মহাপরিচালক মো. শাহজাহান কবীর বলেন, “একজন মানুষের প্রাত্যহিক যে প্রোটিনের চাহিদা রয়েছে, এ জাতের ধানের ভাত খেলে সিংহভাগ প্রোটিনের চাহিদা পূরণ হবে। খেটে খাওয়া অনেক মানুষ তাদের দেহের প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করতে পারে না। তাদের জন্য এ জাত দুটি ভাতের সঙ্গে প্রোটিনেরও যোগান দিতে পারবে।”
ব্রির মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. আব্দুল কাদের বলেন, “একজন মানুষের দৈনিক প্রোটিনের চাহিদা হলো ৫৮ গ্রাম। পরীক্ষা করে দেখা গেছে, একজন মানুষ যদি গড়ে দৈনিক ৪০৫ গ্রাম এ জাতের চালের ভাত খায় তবে তার দেহের চাহিদার ৭০-৭৫ শতাংশ প্রোটিনের অভাব পূরণ হবে।”
ব্রি কর্তৃপক্ষ জানায়, ব্রি-১০৭ প্রিমিয়াম কোয়ালিটি সম্পন্ন উফশী বালাম জাতের বোরো ধান। পূর্ণ বয়স্ক গাছের গড় উচ্চতা ১০৩ সেন্টিমিটার। গড় জীবনকাল ১৪৩ দিন। প্রতি হেক্টরে গড় ফলন ৮.১৯ টন। তবে এটি অনুকূল পরিবেশে উপযুক্ত পরিচর্যা পেলে হেক্টরপ্রতি ৯.৫৭ টন পর্যন্ত ফলন দিতে সক্ষম।
ব্রি-১০৮ জাতটি বোরো মৌসুমে সারাদেশে চাষ উপযোগী। পূর্ণ বয়স্ক গাছের গড় উচ্চতা ১০২ সেন্টিমিটার। ১৪৯-১৫১ দিন। হেক্টর প্রতি গড় ফলন ৮.৭ টন।