সকালে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
Published : 30 Jan 2024, 02:03 PM
উত্তরের জেলাগুলোর তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও কুড়িগ্রামে কমেনি শীতের তীব্রতা। বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। সকালে সূর্যের দেখা মিললেও, উত্তাপ ছড়াতে পারছে না। এছাড়া জেলার হাসপাতালগুলোতে প্রতিনিয়ত বাড়ছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা।
টানা ১৩ দিন ধরে এ জেলার হিমাঙ্কের পারদ ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে থাকায় প্রাথমিক পর্যায়ের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল ৯টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস; যা সোমবার ছিল ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সূর্যের কিছুটা উত্তাপ ছড়ালেও বিকাল হতেই তাপমাত্রা আবারও নিম্নমুখী হচ্ছে। শীতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া, পেটের পীড়া, শ্বাসকষ্ট, সর্দিকাশি, জ্বরসহ শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। আক্রান্তদের মধ্যে শিশু ও বয়স্কদের সংখ্যাই বেশি।
কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা শিপন জানান, গেল ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডের ১২ শয্যার বিপরীতে ৪৮ জন এবং শিশু ওয়ার্ডের ৪৪ শয্যার বিপরীতে ৮৭ জন চিকিৎসা নিচ্ছেন।
সদর উপজেলার পাঁচগাছী ইউনিয়নের কৃষক আফজাল হোসেন বলেন, বোরো ধান রোপণের জন্যে জমি তৈরি করছি। ঠান্ডায় ভালো মতো কাজ করতে পারছি না। এইরকম ঠান্ডা থাকলে এবার বোরো আবাদ পিছিয়ে পড়বে।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, জানুয়ারির ৩১ তারিখ পর্যন্ত তাপমাত্রা নিম্নগামী থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। তারপর তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে।