২০১২ সালের ৮ জুন দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে ধারালো অস্ত্রের মুখে ওই মেয়েটিকে অপহরণ করেন জসিম।
Published : 27 Feb 2023, 09:30 PM
বরিশালে এক এসএসসি পরীক্ষার্থীকে অপহরণ ও ধর্ষণের দায়ে কথিত এক কবিরাজের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে।
সোমবার বরিশালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. ইয়ারব হোসেন এ রায় দেন।
রায়ে অপহরণের দায়ে ১৪ বছর কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা এবং ধর্ষণের দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় আসামির।
এ মামলার রায়ে আরও পাঁচ জনকে খালাস দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি ফয়জুল হক ফয়েজ।
দণ্ডিত বাবুল মাতুব্বর ওরফে জসিম (৪১) ভোলার চর মনসা এলাকার বাসিন্দা।
পিপি ফয়জুল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, রায় ঘোষণার সময় দণ্ডিত ফকির জসিম পলাতক ছিলেন। খালাস পেয়েছেন ওই ব্যক্তির বাবা ও সহযোগীসহ পাঁচ জন।
মামলার বরাতে বেঞ্চ সহকারী হুমায়ন কবির বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার বাহাদুরপুরের বাসিন্দা এসএসসি পরীক্ষার্থীর ছোট ভাইকে চিকিৎসার জন্য ঘরে আসতেন কবিরাজ জসিম। এ সুবাদে জসিমের সঙ্গে পরীক্ষার্থীর পরিবারের সস্পর্ক গড়ে ওঠে। এক পর্যায়ে পরীক্ষার্থীকে বিয়ের প্রস্তাব দেন; কিন্তু জসিমের স্ত্রী ও সন্তান থাকায় মেয়েটির পরিবার রাজি হয়নি।
“এরপর জসিম ২০১২ সালের ৮ জুন ঘরের দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে ধারালো অস্ত্রের মুখে ওই পরীক্ষার্থীকে অপহরণ করেন। এ সময় বাধা দিলে পরীক্ষার্থীর বাবা ও মাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করেন তিনি।”
দুদিন পর ১০ জুন মেয়েটিকে উদ্ধারের পর তার বাবা বাদী হয়ে ছয় জনকে আসামি করে মেহেন্দীগঞ্জ থানায় অপহরণ ও ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন।
মেহেন্দীগঞ্জ থানার এসআই লোকমান হোসেন ছয় জনকে আসামি করে আদালতে ২০১২ সালের ৩১ অগাস্ট অভিযোগপত্র দেন।
বেঞ্চ সহকারী হুমায়ন কবির আরও বলেন, অপহরণের দায়ে ১৪ বছর কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা এবং ধর্ষণের দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় আসামির।
খালাসপ্রাপ্তরা হলেন দণ্ডিতের বাবা নুরু মাতুব্বর, ভাই তসলিম মাতুব্বর, স্বজন ভোলার মেদুয়া এলাকার মাসুদ রাঢ়ী, আব্দুর রব ওরফে রহমান ও বাবুল মাঝি।