২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইয়াসমিন ও তার ছেলেকে হত্যা করে পদ্মার চরে বালুচাপা দিয়ে রাখা হয় বলে জানান এপিপি।
Published : 27 Nov 2023, 10:54 PM
ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলায় স্ত্রী ও সন্তানকে হত্যার দায়ে এক যুবককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত।
সোমবার ঝিনাইদহের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আব্দুল মতিন আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের সহকারী কৌঁসুলি (এপিপি) অজিত কুমার বিশ্বাস।
দণ্ড পাওয়া মো. সুজন (৩৫) উপজেলার দোহা-নাগিরাট গ্রামের মো. বিশ্বের ছেলে।
মামলার বরাতে এপিপি অজিত কুমার জানান, ছয় বছর আগে শৈলকুপা উপজেলার নোন্দীরগাতী গ্রামের সালেহা বেগমের মেয়ে ইয়াসমিনের সঙ্গে সুজনের বিয়ে হয়। পরে তাদের ঘরে একটি ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। এর কিছুদিন পর থেকে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন সুজন।
“এ নিয়ে ইয়াসমিনের সঙ্গে সুজনের ঝগড়া-বিবাদ লেগে থাকত। এক পর্যায়ে স্ত্রী ও সন্তানকে শ্বশুরবাড়ি পাঠিয়ে দেন সুজন। আর বিবাদে জড়াবে না বলে কিছুদিন পর স্ত্রী ও সন্তানকে বাড়িতে নিয়ে আসেন তিনি।
“২০১৬ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে নিখোঁজ হন তারা। সুজনের পরিবারের কাছে ইয়াসমিনের বাবার বাড়ির লোকজন তাদের বিষয়ে জানতে চাইলে তারা বলে, ওরা বেড়াতে গেছে। এক পর্যায়ে সুজনের বাড়ির লোকজনও পালিয়ে যান।”
এ ঘটনায় ওই বছরে ২২ মার্চ ইয়াসমিনের মা সালেহা বেগম আদালতে নিখোঁজের অভিযোগ করলে; পরে সেটি এজাহার হিসাবে গণ্য হয় বলে জানান এপিপি।
তিনি আরও জানান, আদালতের নির্দেশে আত্মগোপনে থাকা সুজনকে ফরিদপুরের সদরপুর থানার মৈজদ্দি-মাতব্বরকান্দি গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সুজন পুলিশের কাছে তার স্ত্রী ইয়াসমিন এবং ছেলে ইয়াসিনকে গলা টিপে হত্যা করে পদ্মার চরে বালিচাপা দিয়ে রাখার কথা স্বীকার করেন বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের এ আইনজীবী।
পরে ২০১৭ সালের ১ জানুয়ারি সুজনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ।
সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বিচারক আসামিকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেন বলে জানান এপিপি অজিত কুমার।