টেকনাফে এখনও মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে যাচ্ছে

ঝড়ের বড় ধরনের কোনো প্রভাব না থাকায় সকালে অনেকেই নিজেদের বাড়িঘর দেখতে চলে যান।

কক্সবাজার প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 May 2023, 06:21 AM
Updated : 14 May 2023, 06:21 AM

কক্সবাজারের টেকনাফ উপকূলে ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাব শুরুর পর বৃষ্টির পরিমাণ ও বাতাসের গতিবেগ বেড়েছে; এর মধ্যেই রোববার সকালেও লোকজনকে আশ্রয়কেন্দ্রের দিকে আসতে দেখা গেছে।  

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব মোকাবিলায় টেকনাফে প্রথমে সরকারিভাবে ৬৪টি সাইক্লোন শেল্টার সেন্টার প্রস্তুত করা হলেও পরে পরিস্থিতি বিবেচনায় সেই সংখ্যা বাড়িয়ে ১১৭টি করা হয়।

এসব আশ্রয়কেন্দ্রে শনিবার সন্ধ্যা থেকেই লোকজন আসতে শুরু করেন। রাতে তারা সেখানেই ছিলেন। কিন্তু ঝড়ের বড় ধরনের কোনো প্রভাব না থাকায় সকালে অনেকেই আবার নিজেদের বাড়িঘর দেখতে চলে যান।

সকাল ৯টার পর বৃষ্টির পরিমাণ ও বাতাসের গতিবেগ বাড়তে থাকলে লোকজন আবার আশ্রয়কেন্দ্রের দিকে আসা শুরু করেন বলে ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) স্বেচ্ছাসেবকরা জানিয়েছেন।

কক্সবাজার আঞ্চলিক আবহাওয়া কার্যালয়ের সহকারী আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান রোববার সকাল ১০টায় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সকাল ৯টা থেকে ঘূর্ণিঝড় মোখার অগ্রভাগ সেন্ট মার্টিন দ্বীপ এবং টেকনাফের উপকূলে প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে।”

সকাল ১০টার দিকে শাহপরীর দ্বীপ জালিয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শাহপরীর দ্বীপ উত্তরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, টেকনাফ হারিয়াখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সাবরাং বাহারছড়া সাইক্লোন শেল্টার সেন্টারে গিয়ে দেখা যায়, বৃষ্টির মধ্যে লোকজন হেঁটে ও ইজিবাইকে করে আশ্রয়কেন্দ্রে আসছেন। তাদের সঙ্গে ছোট ছোট ব্যাগ রয়েছে।

অনেকে আসার সময় গবাদিপশুও নিয়ে এসেছেন। সেগুলো সেন্টারের সামনের খোলা জায়গায় রাখা হয়েছে।

শাহপরীর দ্বীপ জালিয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সেন্টারের সিপিপির টিম লিডার মনির উল্লাহ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “গতকাল যারা এসেছিলেন তারা রাতে এই সেন্টারেই ছিলেন। রাতে তো ঝড়ের কোনো প্রভাব ছিল না সামান্য বৃষ্টি ছাড়া। তাই ভোরে লোকজন আবার কিছু বাড়ি চলে যায়। অনেকে খেয়েদেয়ে আবার ফিরে আসছে। নতুন লোকজনও আসতেছে।”

টেকনাফের স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সাগর উত্তাল হচ্ছে। রাস্তাঘাটে লোকজন ও যানবাহনের সংখ্যা কমে গেছে।