ওসি বলেন, “গ্রেপ্তারকৃতরা পেশাদার অপরাধী। তারা প্রতিনিয়ত চুরি ছিনতাইসহ নানা অপকর্ম করে বেড়াত।”
Published : 19 Apr 2024, 10:39 AM
নববর্ষের দিনে ঢাকার কেরানীগঞ্জ উপজেলায় ঘুরতে আসা এক তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় পাঁচ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার কেরানীগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহাবুদ্দিন কবির এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, কেরানীগঞ্জ ও ঢাকা শহরের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণে জড়িতদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তারা হলেন, মো. রাহাত (১৮), মো. সোহাগ আলম (২০), শহিদুল ইসলাম (২১), মিলন (২৩) ও মো. মাসুম (২৫)।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহাবুদ্দিন কবির জানান, পহেলা বৈশাখের দিন রাজধানীর মোহাম্মদপুরের চাকরিজীবী এক তরুণী (১৯) দুই সহকর্মীর সঙ্গে কেরানীগঞ্জের ঘাটারচর এলাকায় মধুসিটি হাউজিংয়ে ঘুরতে আসেন।
হাউজিংয়ের ভেতরে ছবি তোলার সময় ৫-৭ জন তাদের বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন করতে থাকেন। এক পর্যায়ে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তারা ওই তরুণী ও তার বন্ধুদের কাছে থাকা নগদ টাকা ও মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে যান।
এরপর তাদের টানাহেঁচড়া করে হাউজিংয়ের আরও ভিতরে ফাঁকা জায়গায় নিয়ে যান। সেখানে তরুণীর দুই বন্ধুকে বেদম মারধর করে আটকে রাখেন আসামিরা।
এ সময় আসামিরা ওই তরুণীকে জোরপূর্বক হাউজিংয়ের উত্তর-দক্ষিণমুখী রাস্তার পূর্ব-পশ্চিম রোডের খালের উত্তর পাশে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করেন। পরে ঘটনা কাউকে জানালে ক্ষতি করার হুমকি দিয়ে চলে যান আসামিরা।
এ ঘটনায় পরদিন সোমবার ভিকটিম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।
কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ওসি মোস্তফা কামাল জানান, ঘটনাটি জানার পরপরই আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের চৌকস একটি টিম তদন্ত কার্যক্রম শুরু করে।
“পরে ঘটনার আশপাশের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় বিভিন্ন জায়গায় ধারাবাহিক অভিযান চালিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণে জড়িত পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।”
ওসি বলেন, “গ্রেপ্তারকৃতরা পেশাদার অপরাধী। তারা প্রতিনিয়ত চুরি ছিনতাইসহ নানা অপকর্ম করে বেড়াত।”
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ওই তরুণীকে ধর্ষণ করার কথা স্বীকার করেছেন বলে জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।