প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে আহত ওই নেতাকে ঢাকা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
Published : 19 Jan 2024, 10:59 PM
বরিশাল নগরীতে ছাত্রলীগের সাবেক এক নেতাকে কুপিয়ে জখমের অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে।
শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে নগরীর রাজাবাহাদুর সড়কের মহিলা ক্লাবের সামনে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি আরিচুল হক।
আহত মেহেদি হাসান মিঠুন (৩৫) নগরীর ১০ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি। তিনি নগরীর সি অ্যান্ড বি রোড ১ নম্বর পোল এলাকার আবুল কালাম আজাদের ছেলে।
মিঠুনের অভিযোগ মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক প্রদীপ দাসের নেতৃত্বে তাকে কোপানো হয়েছে। তবে প্রদীপ দাস তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
মিঠুন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “শনিবার নগরীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী সংসদ সদস্য জাহিদ ফারুক শামীমকে সংবর্ধনা দেওয়া হবে। অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নিয়ে কথা বলতে শ্বশুর বাদশা চৌধুরী নিয়ে নগরীর নবগ্রাম রোডে প্রতিমন্ত্রীর বাসায় যাই। সেখানে শ্বশুরকে নামিয়ে দিয়ে মোটরসাইকেলে করে বঙ্গবন্ধু উদ্যানের দিকে যাচ্ছিলাম।
“পথে মহিলা ক্লাবের সামনে পৌঁছালে প্রদীপ দাস তার কয়েকজন সহযোগীকে নিয়ে আমার পথরোধ করেন। এ সময় তারা ধারাল অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়িভাবে কোপানো শুরু করেন। ডাক-চিৎকার দিলে হামলাকারীরা পালিয়ে যান।”
মিঠুন আরও বলেন, হামলাকারীদের সঙ্গে তার পূর্ববিরোধ ছিল। তবে বিষয়টি মীমাংসা হয়েছে। বর্তমানে তাদের মধ্যে কোনো দ্বন্দ্ব নেই। তবুও কেন তাকে কুপিয়েছে সে সম্পর্কে জানেন না তিনি।
শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মিঠু জানিয়েছেন, তার ডান হাতের আঙুল ও পা মারাত্মক জখম হয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর তাকে ঢাকা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক প্রদীপ দাস বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমি ঘটনাটি শুনে আশ্চর্য হয়েছি। এ ঘটনার সঙ্গে আমি জড়িত নই। মিঠুন মাদকের ব্যবসা করেন। সেই বিরোধ নিয়ে কেউ হয়ত তাকে কুপিয়েছে। এখন সেই দোষ আমার উপরে দেওয়ার চেষ্টা করছেন।”
ওসি আরিচুর হক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ছাত্রলীগের সাবেক নেতাকে কুপিয়ে জখমের সঙ্গে কারা জড়িত তা জানার চেষ্টা চলছে। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”