শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্লাস সপ্তাহে পাঁচ দিন করা হলেও পুনর্বিন্যস্ত পাঠদানে তাতে কোনো সমস্যা হবে না বলে মনে করেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
সোমবার দুপুরে চাঁদপুর সার্কিট হাউসে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা যে শিখন ঘাটতি নিরূপণ করেছি, সেটি পুষিয়ে নেওয়ার জন্য আমাদের পরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হয়েছে।
“আগামী বছর থেকে নতুন শিক্ষাক্রমে সপ্তাহ হবে পাঁচ দিনের। তো বর্তমানে সারা বিশ্বে যে জ্বালানি সংকট চলছে, সে কারণে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের জন্য এখন থেকেই আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্লাসগুলো পাঁচদিন করার কথা আমরা ভাবছি।”
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সেক্ষেত্রে একটা দিন বিশেষ করে শহরগুলোতে যে পরিমাণ যানবাহন চলে শুধুমাত্র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী আনা-নেওয়ার জন্য, সেটার সাশ্রয় হবে।
“পাশাপাশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে যে বিদ্যুতের ব্যবহার হয় সেটারও সাশ্রয় হবে; সেজন্য আমরা এই সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছি,” বলেন তিনি।
নতুন বছরে সময়মতো পাঠ্যপুস্তক ছাপানোতে বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে বলেও মনে করেন দীপু মনি।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, “এবার বড় একটা চ্যালেঞ্জ আসছে। কাগজের মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে, কাগজের সংকটও আছে, তাছাড়া লোডশেডিংয়ের বিষয়টিও আছে। আশা করছি, আগামী মাস থেকে লোড শেডিং থাকবে না। কিছু চ্যালেঞ্জ আছে আমাদের পুস্তকগুলো সময়মত ছাপানোর ক্ষেত্রে। তবুও আমরা চেষ্টা করছি; সময় মত করা যাবে ইনশাআল্লাহ।”
এ সময় চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বশির আহমেদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত রায়, চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল, সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী বেপারী উপস্থিত ছিলেন।
পরে শিক্ষামন্ত্রী জেলা প্রশাসন আয়োজিত জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে শোক দিবসের আলোচনা সভায় যোগ দেন।
সেখান থেকে তিনি ভাষাবীর এমএ ওয়াদুদ মেমোরিয়াল ট্রাস্টের উদ্যোগে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে হুইল চেয়ার ও ট্রলি বিতরণ অনুষ্ঠান এবং জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে চাঁদপুর প্রেসক্লাব আয়োজিত আলোচনা সভায় অংশ নেন।