এক দিন আগে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত ব্যক্তি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বলে জানিয়েছে পরিবার।
Published : 02 Mar 2024, 05:52 PM
শরীয়তপুর সদর উপজেলায় মারধরে আহত ব্যক্তির মৃত্যুর গুজবে প্রতিপক্ষের বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।
শনিবার দুপুরে উপজেলার আংগারিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম পরাসদ্দি (খায়ের চর) গ্রামে এ ঘটনা ঘটে বলে জানান পালং মডেল থানার ওসি মিসবাহ উদ্দিন আহম্মেদ।
শুক্রবার দুপুরে এক পক্ষের হামলায় লাভলু খান (৪৫) আহত হন; যিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। তিনি ওই গ্রামের হাসেম খানের ছেলে।
আংগারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আকিবর খান বলেন, “এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কয়েকদিন আগে খায়েরচর গ্রামের নুরুজ্জামান মোল্লা ও ফরহাদ মোল্লার পক্ষের লোকজন একই এলাকার ওসমান বেপারী ও জসিম খানকে মারধর করেন।
“এ ঘটনার জেরে শুক্রবার দুপুরে আবু বেপারী ও সোহাগ বেপারীর লোকজন দেশি অস্ত্র নিয়ে লাভলু খানকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করে রাস্তায় ফেলে যান। তাকে উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।”
ইউপি সদস্য আকিবর খান বলেন, “শনিবার সকালে ঢাকায় লাভলু মারা গেছেন এমন খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। পরে লাভলুর পক্ষের লোকজন জলিল বেপারী ও সোহাগ বেপারীর বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর ও আগুন দেয়।”
স্থানীয় বাসিন্দা কাউসার খান বলেন, “জলিল বেপারী ও সোহাগ বেপারীর অত্যাচারে স্থানীয় লোকজন অতিষ্ঠ। তাদের বাড়ির সামনে দিয়ে কেউ গেলে তাকে ধরে নিয়ে মারধর করা হয়।”
আরেক বাসিন্দা মজিবুর রহমান বলেন, শুক্রবার লাভলু খানকে মারধর করার ঘটনায় এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে জলিল বেপারী ও সোহাগ বেপারীর বাড়িঘরে ভাঙচুর চালিয়েছে।
লাভলুর স্ত্রী মোরশেদা বেগম মোবাইল ফোনে জানান, জলিল বেপারী ও তার ছেলে বিনা কারণে লাভলুকে মারধর করেছে। তাকে নিয়ে নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন তিনি।
এ বিষয়ে জানতে জলিল বেপারী ও সোহাগ বেপারীর মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।
ওসি মিসবাহ উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, লাভলু খানকে মারধরের ঘটনায় একটি মামলা করা হয়েছে। মারধরের প্রতিবাদে শনিবার স্থানীয় লোকজন দুটি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও একটি ভাঙচুর করেছে।
তবে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি বলে জানান তিনি।