বরিশালের ভারসাম্যহীন ওই নারীকে ময়মনসিংহের এক আশ্রয় কেন্দ্রে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
Published : 24 Mar 2024, 06:24 PM
বরিশাল সদরে ফেরিঘাটে মানসিক ভারসাম্যহীন নারীর জন্ম দেওয়া নবজাতকের ঠাঁই হল ছোটমনি নিবাসে। আর মাকে পাঠানো হবে ময়মনসিংহের এক আশ্রয় কেন্দ্রে।
রোববার আদালতের নির্দেশে নবজাতককে আগৈলঝাড়া উপজেলার গৈলা ছোটমনি নিবাসে পাঠানো হয় বলে জানান বন্দর থানার ওসি আব্দুর রহমান মুকুল জানান।
শনিবার রাত ৮টার দিকে ২৫ বছর বয়সি মানসিক ভারসাম্যহীন হেলেনা সদর উপজেলার লাহারহাট ফেরিঘাটের পাশে কন্যা সন্তানের জন্ম দেন বলে তিনি জানান।
সন্তান জন্ম দেওয়ার সময় ঘটনাস্থলে থাকা বেদে সম্প্রদায়ের নাসিম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, নদীতে মাছ ধরে বিক্রি করতে ছোট ভাইয়ের স্ত্রী মালেকাসহ তিনি বাজারে যান। এ সময় তারা দেখতে পান ভারসাম্যহীন ওই নারী প্রসব যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন।
দুই সন্তানের জননী মালেকা বলেন, “ওই নারীকে দেখে বুঝতে পারি সন্তান জন্ম দেওয়ার সময় হয়েছে। তার পাশে যাই। পরে ওই নারী এক কন্যা সন্তানের জন্ম দেয়।”
খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে মা ও নবজাতককে উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করায়। পরে তাদের আদালতে পাঠানো হয়।
মালেকার ননদ নাসিমা বেগম জানান, মানসিক ভারসাম্যহীন ওই নারী দুই বছর ধরে ওই এলাকায় ঘোরাফেরা করেন। পরিচয় জানতে চাইলে নিজের নাম শুধু হেলেনা বলে জানান। আর কিছু বলতে পারে না।
তিনি বলেন, “আমি নিঃসন্তান। শিশুটিকে নিজের সন্তান হিসেবে লালনপালন করতে চাই। এ জন্য ওই নারীর চিকিৎসায় পাঁচ হাজার টাকা ব্যয়ও করেছি। শনিবার রাত থেকে তার সঙ্গে আছি।”
বন্দর থানার এসআই রোজিনা বেগম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আদালতের নির্দেশে নবজাতককে আগৈলঝাড়া শিশু নিবাসে পাঠানো হবে। মাকে আপাতত ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে পাঠানো হয়েছে। পরে তাকে ময়মনসিংহের ধরলায় ভবঘুরে আশ্রয় কেন্দ্রে পাঠানো হবে।”
মা ও নবজাতক সুস্থ আছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।
বরিশাল জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের প্রবেশন কর্মকর্তা সাজ্জাদ পারভেজ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, নবজাতকের নিরাপত্তার জন্য শিশু আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী তাকে শিশু নিবাসে পাঠানো হয়েছে।
তবে কেউ শিশুটিকে লালনপালন করতে চাইলে কিছু শর্ত ও প্রক্রিয়া মেনে নিতে হবে বলে জানান তিনি।