ভূমি মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পাওয়ার পরপরই জেলা প্রশাসন সীমানা নির্ধারণ করে সাইনবোর্ড সাঁটিয়েছে।
Published : 09 Feb 2024, 04:20 PM
জেলাবাসীর কাঙ্ক্ষিত ও প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুত শিশুপার্কের জন্য চাঁদপুরের ডাকাতিয়া নদীর পাড়ে ভূমির অনুমোদন পাওয়া গেছে।
চাঁদপুর প্রেস ক্লাবের পেছনে ডাকাতিয়া নদীর পাড়ে প্রায় তিন একর জমির ওপর শিশুপার্কটি নির্মিত হবে বলে জানান, সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. হোদায়েত উল্লাহ।
পার্ক নির্মাণের জন্য জেলা পরিষদ প্রাথমিকভাবে ১০ কোটি টাকা ব্যয় নির্ধারণ করে একটি প্রকল্প প্রস্তুত করেছে বলে জানান পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মনোয়ার হোসেন।
ভূমি মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পাওয়ার পরপরই জেলা প্রশাসন সীমানা পিলার দিয়ে সাইনবোর্ড সাঁটিয়েছে।
চাঁদপুর শহরের বাসিন্দা মো. সোহেল হোসেন বলেন, “চাঁদপুরে তেমন কোনো বিনোদন কেন্দ্র নেই। তাই অবসর সময় কাটানোর জন্য ডাকাতিয়া নদীর পাড়ই একমাত্র ভরসা এখানকার মানুষের।”
নদীটির পাড়ে বেড়াতে আসা মো. দেলোয়ার হোসেন নামে এক কলেজ শিক্ষক বলেন, “চাঁদপুরে অবসর সময় কাটানোর জন্য ভালো কোনো জায়গা বা বিনোদনকেন্দ্র নেই। শিশুদের জন্য কোনো পার্ক নেই। এ জায়গাটি যেহেতু নদী ঘেঁষা, তাই পর্যটকদের আকৃষ্ট করার বিষয়টি মাথায় রেখে পরিকল্পনা গ্রহণ করলে সবচে ভালো হবে।”
জান্নাতুল ফেরদৌস নামে এক কলেজ শিক্ষার্থী বলেন, “এখানে এলে আমরা প্রাণ খুলে নিশ্বাস নিতে পারি, জায়গাটি খুব ভালো লাগে। পরিকল্পিতভাবে এখানে শিশুপার্ক বা বিনোদন কেন্দ্র হলে সবার জন্য খুবই ভালো হবে।”
সহকারী কমিশনার (ভূমি) হেদায়েত উল্লাহ জানান, গত ১৭ জানুয়ারি ডাকাতিয়াপাড় ঘেঁষে পার্ক নির্মাণের জন্য ২ একর ৭৯ শতাংশ জমি অনুমোদন করে ভূমি মন্ত্রণালয়। প্রয়োজনে আশপাশের আরও কিছু জায়গা এতে সংযুক্ত করা হতে পারে।
তিনি বলেন, “এ প্রকল্পে থাকবে শিশুপার্ক, বিনোদন কেন্দ্র, উন্মুক্ত ধরনের থিয়েটার, বাচ্চাদের সাইক্লিলিংয়ের জায়গা, ভালো একটি ওয়াকওয়ে, নদীর উপরে হাঁটার জন্য ব্যবস্থা করা হবে, এ ধরনের অনেক কিছুই এখানে করা হবে। কিছু দিনের মধ্যে ফিজিবিলিটি স্টাডি শুরু হবে।”
হেদায়েত উল্লাহ আরও বলেন, “শিশুপার্ক করার জন্য প্রায় এক বছর আগে থেকেই প্রক্রিয়া শুরু হয়। ভূমির অনুমোদন পাওয়া গেছে। এখন অর্থ বরাদ্দ হলে কাজ শুরু হবে। আপাতত আমরা স্থান নির্ধারণ করেছি। বিষয়টি সবাইকে জানানোর জন্য আমরা ওই জমিতে সাইনবোর্ড দিয়েছি।”
চাঁদপুর জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা মনোয়ার হোসেন বলেন, “জেলা পরিষদ এবং জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের যৌথ উদ্যোগে এখানে শিশুপার্ক করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। পুরাণবাজার ব্রিজের গোড়া থেকে মুখার্জিঘাট পর্যন্ত এ এলাকার জন্য ১০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প প্রস্তুত করা হয়েছে।
“আমাদের মন্ত্রী মহোদয়ের সহযোগিতায় পার্ক নির্মাণের জন্য উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা (ডিপিপি) অনুমোদন হয়ে এলে তখন কাজ শুরু হবে।”