“মেয়েকে হত্যার পর পাঁচ বছর বয়সী ছেলেটাকেও গলা কেটে হত্যা করতে উদ্যত হয় সে।”
Published : 25 Apr 2025, 06:57 PM
সাতক্ষীরার কলারোয়ায় দেড় বছর বয়সি মেয়েকে গলাকেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে এক মায়ের বিরুদ্ধে। পরিবারের দাবি, বছর খানেক ধরে মানসিক ভারসাম্যহীনতায় ভুগছিলেন ওই নারী।
শুক্রবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়নের বাটরা গ্রামে শিশুটির নানার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন কলারোয়া থানার ওসি আসাদুজ্জামান।
নিহত শিশু খাদিজা খাতুন মা তানিয়া খাতুন ওরফে আসমার (৩০) সঙ্গে বাটরা মিলপাড়া এলাকার নানা বাড়িতেই থাকত।
আসমার বাবা ও নিহত শিশুর নানা আব্দুল মাজেদ বলেন, “প্রায় ১০ বছর আগে উপজেলার কুশোডাঙ্গা গ্রামের তহিদুর রহমানের সঙ্গে আমার মেয়ে আসমার বিয়ে হয়। তাদের দু’ছেলে-মেয়ে রয়েছে।
“বছর খানেক হলো আমার মেয়েটির মাঝে মাঝে মানসিক ভারসাম্যহীনতা সৃষ্টি হয়। এ কারণে জামাই তহিদুর ছেলে-মেয়েসহ আসমাকে বাটরা গ্রামে আমার কাছে পাঠিয়ে দেয়।”
আব্দুল মাজেদ বলেন, “আমরা স্থানীয়ভাবে সাধ্যমত তার চিকিৎসার চেষ্টা করেছি। আজকেও (শুক্রবার) জুমার পর তাকে চিকিৎসকের কাছে নেওয়ার কথা, সেজন্য ভ্যানও জোগাড় করছিলাম। কিন্তু এর মধ্যে এ ঘটনা ঘটে গেল।”
তিনি আরও বলেন, “দুপুরে বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে রান্নাঘরের বটি দিয়ে মেয়ে খাদিজা খাতুনের গলা কেটে ফেলে আসমা। মেয়েকে হত্যার পর ৫ বছর বয়সী ছেলেটাকেও গলা কেটে হত্যা করতে উদ্যত হয় সে।
“তবে তার আগেই আমার স্ত্রী আলেয়া খাতুন পাশের বাড়ি থেকে ছুটে এসে তাকে নিবৃত করে।”
ওসি আসাদুজ্জামান বলেন, “খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে শিশু মেয়েটির মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। এছাড়া সন্তানকে হত্যা করার অভিযোগে আছমা খাতুনকে আটক করা হয়েছে।
এ ঘটনায় মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান ওসি।