লতার শরীরের ৯০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল।
Published : 29 Feb 2024, 04:55 PM
নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলায় স্বামীর দেওয়া আগুনে দগ্ধ চিকিৎসক লতা আক্তার চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। একই ঘটনায় নিজের গায়ে দেওয়া আগুনে মৃত্যু হয় স্বামীরও।
বৃহস্পতিবার বেলা দেড়টার দিকে রাজধানীর শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় লতার মৃত্যু হয় বলে তার চাচা ফারুক মিয়া ও হাসপাতালটির আবাসিক চিকিৎসক তরিকুল ইসলাম জানিয়েছেন।
এর আগে ২৫ ফেব্রুয়ারি তালাক দেওয়া নিয়ে বিবাদের জের ধরে স্বামী খলিলুর রহমান পেট্রোল ঢেলে লতার গায়ে আগুন ধরানোর পর নিজের গায়েও আগুন দেন। পরদিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৪০ বছর বয়সী খলিলুরের মৃত্যু হয়।
একটি বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক লতাকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছিল দগ্ধ হওয়ার দিন বিকালেই।
আগুনে ৩২ বছর বয়সী লতার শরীরের ৯০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল বলে চিকিৎসক তরিকুল জানিয়েছেন।
লতার স্বামী খলিলুর গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার বেলাশী গ্রামের আতর আলী বেপারীর ছেলে। আর লতা রায়পুরা উপজেলার মরজাল ইউনিয়নের ব্রাহ্মণেরটেক গ্রামের মফিজউদ্দিনের মেয়ে।
তিনি ঢাকার গুলশান এলাকার শাহাবুদ্দিন মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করে নারায়ণগঞ্জের একটি বেসরকারি হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন।
স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ জানায়, লতা ও খলিলের মধ্যে দীর্ঘদিন প্রেমের সম্পর্ক ছিল; এক পর্যায়ে গোপনে বিয়ে করেন তারা। বিয়ের বেশ কিছুদিন পর লতা জানতে পারেন, খলিলুর পেশায় গাড়ি চালক।
বিয়ের আগে বিষয়টি খলিলুর গোপন করেছিলেন দাবি করে দুই মাস আগে ওই নারী আইনজীবীর মাধ্যমে স্বামীকে তালাকনামা পাঠান। এরপরও খলিল লতাকে নিয়ে সংসার করতে চাইছিলেন।
নরসিংদীতে চিকিৎসক স্ত্রী ও নিজের গায়ে দেওয়া আগুনে যুবকের মৃত্যু
ঘটনার সময় লতা বাবার বাড়ি ছিলেন জানিয়ে মরজাল ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য তুহিন ভূঁইয়া বলেন, খলিলের সঙ্গে দ্বন্দ্বের সমাধান করতে উভয়ের মতামতে গত মাসে গ্রাম্য সালিশও হয়। কিন্তু খলিলের সঙ্গে সংসার করতে রাজি ছিলেন না লতা।
এরই মধ্যে লতার বাবার বাড়ি এসে ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে স্ত্রী ও নিজের গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেন খলিল।
এ ঘটনায় লতার পরিবার থেকে থানায় লিখিত অভিযোগ এবং খলিলের পরিবারের পক্ষ থেকে অপমৃত্যু মামলা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।