পটুয়াখালীতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনায় ৫০০ জনের বিরুদ্ধে দুটি মামলা হয়েছে।
রোববার দুপুরে সরকারি কলেজ ছাত্রলীগ নেতা মো. রায়হান হোসেন ও জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. নাসির উদ্দিন বাদী হয়ে সদর থানায় পৃথক এ দুটি মামলা দায়ের করেন।
রায়হানের মামলায় সদর উপজেলা শ্রমিক দলের সভাপতি মনির মুন্সীকে ও নাসির উদ্দিনের মামলায় জেলা যুবদলের সভাপতি মনিরুল ইসলাম লিটনকে প্রধান আসামি করা হয়েছে।
পটুয়াখালী সদর থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামান সাংবাদিকদের জানান, শনিবার বিএনপি ও আওয়ামী লীগের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে। দুই মামলাতেই হামলার অভিযোগ তুলেছে বাদীপক্ষ।
আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে; তদন্তসাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে ওসি জানান।
জেলা বিএনপির সদস্য সচিব স্নেহাংশু সরকার কুট্টি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমাদের দলীয় কার্যালয়ের ভাংচুর চালিয়েছে; আসবাবপত্র তছনছ করেছে। উল্টো আমাদের নেতা-কর্মীর নামে হয়রানিমূলক মামলা দেওয়া হয়েছে।”
আহত নেতা-কর্মীরা চিকিৎসা নিচ্ছেন; তারা সুস্থ হলে আইনজীবীদের সঙ্গে পরামর্শ করে আইনের আশ্রয় নেবেন বলে জানান স্নেহাংশু।
পটুয়াখালীতে শনিবার বিএনপি-আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে শহরের বনানী সড়কে দলীয় কার্যালয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি–জনসমাবেশ পণ্ড হয়ে যায়।
সকালে শুরু হয়ে দুই ঘণ্টাব্যাপী এই সংঘর্ষ চলাকালে মুসলিমপাড়া মোড় থেকে বনানী সড়কের বিএনপি দলীয় কার্যালয় পর্যন্ত এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশকে লাঠিপেটা করতে ও টিয়ারসেল ছুড়তে হয়।