২০২১ সালে সাতটি ইউনিয়ন যুক্ত হওয়ায় সিলেট সিটির ওয়ার্ড ২৭টি থেকে বেড়ে হয় ৪২টিতে। একইভাবে বেড়েছে সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডও।
Published : 22 Jun 2023, 05:33 PM
সিলেট সিটি করপোরেশনে এবার ৪২টি ওর্য়াডে সাধারণ ও ১৪টি সংরক্ষিত ওর্য়াডে কাউন্সিলর পদে নির্বাচিত হয়েছেন ৫৬ জন। এর মধ্যে সিটির পুরোনো ২৭টি ওয়ার্ড ও ৯টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডের অধিকাংশতেই বর্তমান কাউন্সিলররাই ফের নির্বাচিত হয়েছেন।
পৌরসভা থেকে সিলেট নগরী সিটি করপোরেশনে উন্নীত হয়েছিল ২০০২ সালে। ২০২১ সালে তার সঙ্গে যুক্ত হয় আরও সাতটি ইউনিয়ন। ফলে সাড়ে ২৬ বর্গকিলোমিটারের করপোরেশনের সীমানা বেড়ে দাঁড়ায় ৭৯.৫০ বর্গকিলোমিটারে। ওয়ার্ডও ২৭টি থেকে বেড়ে হয় ৪২টি। একইভাবে বেড়েছে সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডের সংখ্যাও।
বর্ধিত ওয়ার্ডসমূহের জনসংখ্যা যোগ হয়ে বর্তমানে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের জনসংখ্যা ১০ লক্ষাধিক। এর মধ্যে ভোটার মোট চার লাখ ৮৭ হাজার ৭৫৩ জন।
এ অবস্থায় বুধবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত এই সিটি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। তিনি মেয়র প্রার্থী হিসেবে এবারই প্রথম নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন।
তবে কাউন্সিলর পদে নির্বাচিতদের চিত্রটা ভিন্ন। নগরীর পুরাতন সাধারণ ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদের ২৭ জনের মধ্যে ২৬ জনই এবার নির্বাচনে লড়েছিলেন। তাদের ১৮ জনই ফের নির্বাচিত হয়েছেন। আর সংরক্ষিত পদে নয় জনের মধ্যে এবারও জয় পেয়েছেন পাঁচজন।
সাধারণ ওর্য়াডে নির্বাচিতরা
সাধারণ ওর্য়াডে বর্তমান কাউন্সিলরদের মধ্যে ফের নির্বাচিত হয়েছেন, ১ নম্বর ওয়ার্ডে ঝুড়ি প্রতীকে সৈয়দ তৌফিকুল হাদী; ২ নম্বর ওয়ার্ডে লাটিম প্রতীকে বিক্রম কর সম্রাট; ৩ নম্বর ওয়ার্ডে ঠেলাগাড়ি প্রতীকে আবুল কালাম আজাদ লায়েক; ৫ নম্বর ওয়ার্ডে ঝুড়ি প্রতীকে রেজওয়ান আহমদ; ৬ নম্বর ওয়ার্ডে লাটিম প্রতীকে ফরহাদ হোসেন শামীম; ৯ নম্বর ওয়ার্ডে ঘুড়ি প্রতীকে মখলিছুর রহমান কামরান; ১০ নম্বর ওয়ার্ডে ঠেলাগাড়ি প্রতীকে তারেক উদ্দিন; ১২ নম্বর ওয়ার্ডে ব্যাডমিন্টন র্যাকেট প্রতীকে সিকন্দর আলী; ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে ঘুড়ি প্রতীকে শান্তনু দত্ত সন্তু।
এ ছাড়া ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে ঠেলাগাড়ি প্রতীকে নজরুল ইসলাম মুমিন; ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে টিফিন ক্যারিয়ার প্রতীকে ছয়ফুল আমিন বাকের; ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে ট্রাক্টর প্রতীকে আব্দুল মুহিত জাবেদ; ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে মিষ্টি কুমড়া প্রতীকে এবি এম জিল্লুর রহমান; ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে ঠেলাগাড়ি প্রতীকে এস এম শওকত আমীন তৌহিদ; ২০ নম্বর ওয়ার্ডে লাটিম প্রতীকে আজাদুর রহমান; ২১ নম্বর ওয়ার্ডে লাটিম প্রতীকে আব্দুল রকিব তুহিন; ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে টিফিন ক্যারিয়ার প্রতীকে তাকবির ইসলাম পিন্টু; ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে ঠেলাগাড়ি প্রতীকে বর্তমান কাউন্সিলর তৌফিক বক্স এবারও কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন।
পুরানো ওয়ার্ডগুলোয় এবার নতুন কাউন্সিলর হয়েছেন- ৪ নম্বর ওয়ার্ডে টিফিন ক্যারিয়ার প্রতীকে শেখ তোফায়েল আহমদ শেপুল; ৭ নম্বর ওয়ার্ডে লাটিম প্রতীকে সায়ীদ মো. আবদুল্লাহ; ৮ নম্বর ওয়ার্ডে ট্রাক্টর প্রতীকে জগদীশ চন্দ্র দাশ; ১১ নম্বর ওয়ার্ডে ঘুড়ি প্রতীকে আব্দুর রকিব বাবলু; ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে ট্রাক্টর প্রতীকে রাশেদ আহমদ; ২২ নম্বর ওয়ার্ডে মিষ্টি কুমড়া প্রতীকে ফজলে রাব্বী চৌধুরী; ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে টিফিন ক্যারিয়ার প্রতীকে মোস্তাক আহমদ; ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে ট্রাক্টর প্রতীকে হুমায়ুন কবির সুহিন এবং ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে টিফিন ক্যারিয়ার প্রতীকে আব্দুল জলিল নজরুল।
নতুন গঠিত হওয়া ওয়ার্ডগুলোয় নির্বাচিত কাউন্সিলররা হচ্ছেন- ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে রেডিও প্রতীকে রায়হান হোসেন; ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে ঠেলাগাড়ি প্রতীকে মাজহারুল ইসলাম শাকিল; ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে টিফিন ক্যারিয়ার প্রতীকে রকিব খান; ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে ঠেলাগাড়ি প্রতীকে নজমুল হোসেন; ৩২ নম্বর ওয়ার্ডে লাটিম প্রতীকে রুহেল আহমদ; ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে টিফিন ক্যারিয়ার প্রতীকে দেলোয়ার হোসেন; ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডে ক্যাপ প্রতীকে জয়নাল আবেদীন; ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডে ঘুড়ি প্রতীকে জাহাঙ্গীর আলম।
এ ছাড়া ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডে ব্যাডমিন্টন র্যাকেট প্রতীকে হিরন মাহমুদ নিপু; ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডে টিফিন ক্যারিয়ার প্রতীকে রিয়াজ মিয়া; ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডে ঠেলাগাড়ি প্রতীকে মো. হেলাল উদ্দিন; ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডে রেডিও প্রতীকে আলতাফ হোসেন সুমন; ৪০ নম্বর ওয়ার্ডে ব্যাডমিন্টন র্যাকেট প্রতীকে লিটন আহমদ; ৪১ নম্বর ওয়ার্ডে ট্রাক্টর প্রতীকে ফখরুল আলম; ৪২ নম্বর ওয়ার্ডে টিফিন ক্যারিয়ার প্রতীকে মতিউর রহমান কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন।
সংরক্ষিত ওয়ার্ডে নির্বাচিতরা
সিলেট সিটির নির্বাচনে ১৪টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে মোট ৮৭ নারী প্রার্থী লড়েছেন।
এর মধ্যে ভোটারদের রায়ে পুরানো নয়টির মধ্যে ফের নির্বাচিত পাঁচ জন হলেন- ১ নম্বর ওয়ার্ডে চশমা প্রতীকে সালমা সুলতানা; ২ নম্বর ওয়ার্ডে হেলিকপ্টার প্রতীকে কুলসুমা বেগম পপি; ৩ নম্বর ওয়ার্ডে আনারস প্রতীকে রেবেকা বেগম রেনু; ৫ নম্বর ওয়ার্ডে ডলফিন প্রতীকে শাহানা বেগম শানু; ৬ নম্বর ওয়ার্ডে বই প্রতীকে শাহানারা বেগম।
পুরানো সংরক্ষিত ওয়ার্ডগুলোর মধ্যে নতুন নারী কাউন্সিলর হয়েছেন- ৪ নম্বর ওয়ার্ডে টিফিন ক্যারিয়ার প্রতীকে মোছা. রুহেনা খানম মুক্তা; ৭ নম্বর ওয়ার্ডে চশমা প্রতীকে নার্গিস সুলতানা; ৮ নম্বর ওয়ার্ডে আনারস প্রতীকে শারমিন আকতার রুমি এবং ৯ নম্বর ওয়ার্ডে গ্লাস প্রতীকে নির্বাচন করা ছমিরন নেছা।
এ ছাড়া নতুন গঠিত হওয়া সংরক্ষিত ওয়ার্ডগুলোয় নির্বাচিত নারী কাউন্সিলররা হচ্ছেন- ১০ নম্বর ওয়ার্ডে বই প্রতীকে আয়শা খাতুন কলি; ১১ নম্বর ওয়ার্ডে চশমা প্রতীকে সাজেদা আক্তার সালমা ; ১২ নম্বর ওয়ার্ডে চশমা প্রতীকে মোছা. হজেরা বেগম; ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে আপেল প্রতীকে ফাতেমা বেগম এবং ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে ডলফিন প্রতীকে নির্বাচন করা বাবলি আকতার।