বৃদ্ধকে আটকে রাখার খবর পেয়ে এক স্বজন তাকে উদ্ধার করতে গেলে তাকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
Published : 11 Jun 2023, 12:14 AM
জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে পাওনা টাকা বিরোধের জেরে এক বৃদ্ধকে ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে আটকে রেখে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় করা মামলায় দুই ইউপি সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পাঁচবিবি থানার ওসি জাহিদুল হক জানান, গত বৃহস্পতিবার রাতের উপজেলার কুসুম্বা ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে ঘটনাটি ঘটে বলে মামলায় বলা হয়।
মামলার পর শুক্রবার রাতে দুই ইউপি সদস্যকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তাররা হলেন- কুসুম্বা ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ফরিদুল ইসলাম (২৮) ও ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য শাহানুর ইসলাম (৩০)।
‘নির্যাতনের শিকার’ আব্দুল জলিল (৬৫) একই ইউনিয়নের রহমতপুর গ্রামের প্রয়াত আব্দুল জোব্বারের ছেলে। তিনি জয়পুরহাট সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
মামলার নথির বরাতে পুলিশ জানায়, আব্দুল জলিলের ছেলে মাহবুবের (২৫) কাছ থেকে একই গ্রামের বারীকের ছেলে সৈকত (২২) তিন হাজার ২০০ টাকা ধার নিলেও তা আর ফেরত দেননি। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে প্রায়ই কথা কাটাকাটি হয়।
“বৃহস্পতিবার বিকালে এ নিয়ে পাশের জয়পুরহাট সদর উপজেলার মাধাইনগর বাজারে সৈকতের সঙ্গে মাহবুবের ফের কথা কাটাকাটি হয়। ইউপি সদস্য ফরিদুল এ সময় সৈকতের পক্ষ নিয়ে কথা বললে তার সঙ্গে মাহবুবের ধাক্কাধাক্কি হয়।
মামলায় আরও বলা হয়, “পরে ফরিদুল তার সহযোগী একই ইউনিয়নের আরেক সদস্য শাহানুর ইসলাম এবং গ্রামপুলিশ সদস্যদের নিয়ে ওই বাজার থেকে মাহবুবকে মারধর করে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় বাজারের লোকজন বাধা দিলে তারা ফিরে যান।
“নিজ ইউনিয়নে ফিরে যাওয়ার পথে ইউপি সদস্যরা রাত সাড়ে ১০টার দিকে মাহবুবের বাবা জলিলকে একা পেয়ে ধরে নিয়ে যায়। পরে ইউনিয়ন পরিষদের একটি কক্ষে আটকে তাকে নির্যাতন করা হয়।”
জলিলকে আটকে রাখার খবর পেয়ে এক স্বজন উদ্ধার করতে গেলে তাকেও ইউপি সদস্যরা মারধর করেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
জলিল বলেন, “আমাকে রাতভর নির্যাতনের পরদিন বিকালে মামলা দিয়ে ফাঁসাতে জয়পুরহাট সদর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। তবে পুলিশ বিষয়টি বুঝতে পেরে তদন্তের জন্য পাঁচবিবি থানাকে নির্দেশ দেয়।”
পরে জলিল বাদী হয়ে মামলা করলে ইউপি সদস্য ফরিদুল ও শাহানুরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
ওসি জাহিদুল বলেন, গ্রেপ্তার দুই ইউপি সদস্যকে শনিবার দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। আদালতের নির্দেশে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।