রাষ্ট্রদূতদের নাক গলানো মেনে নেওয়া যায় না: কৃষিমন্ত্রী

মন্ত্রী বলেন, দেশে ডলার সঙ্কট আছে। তারপরও দেশে খাদ্য সঙ্কট হবে না।

বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে রাষ্ট্রদূতদের অযাচিত মন্তব্য মেনে নেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক।

বুধবার মেহেরপুরের মুজিবনগর স্মৃতিসৌধে পুস্পমাল্য অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।

গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, সোমবার ঢাকার একটি হোটেলে এক অনুষ্ঠানে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি ২০১৮ সালের নির্বাচনসংক্রান্ত এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ‘আমি শুনেছি, পুলিশের কর্মকর্তারা আগের রাতে ব্যালট বাক্স ভর্তি করেছেন। আমি অন্য কোনো দেশে এমন দৃষ্টান্তের কথা শুনিনি।’ সব দলের অংশ গ্রহণে বাংলাদেশে প্রত্যাশার কথাও জানান রাষ্ট্রদূত।

জাপানের রাষ্ট্রদূতের ওই মন্তব্যের বিষয়ে সাংবাদিকদের মন্ত্রী বলেন, “বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে জাপান কেন, কোনো রাষ্ট্রদূতের নাক গলানো আমরা কখনোই মেনে নিতে পারি না। তাদেরকে আবারও সর্তক করা হবে। বাংলাদেশ স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র। একটি রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা এদেশকে স্বাধীন করেছি।“

দেশের আত্মমর্যাদা রক্ষায় কাউকে ছাড় না দেওয়ারও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

ডলার সঙ্কট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “সার, জ্বালানি তেল ও রপ্তানি খাতে সরকারকে প্রচুর পরিমাণের ডলার ভুর্তকি দেওয়া লাগছে। ফলে দেশে ডলার সঙ্কট আছে। তারপরও দেশে খাদ্য সঙ্কট হবে না। খাদ্য মজুদ রয়েছে পর্যাপ্ত।”

আমন ধানের সরকারি দর নিয়ে কৃষকদের অসন্তুষ্টি বিষয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, “আমনে কৃষকের উৎপাদন খরচ কম। তাই ২৮ টাকা দর ঠিকই আছে। বাজারে চালের দর চড়া। ফলে ধানে কৃষকের লোকসান হবে না।”

পরে মন্ত্রী মেহেরপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে কৃষি উদ্বাবনী মেলা ও আধুনিক কৃষি আবহাওয়া পূর্বাভাস কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন।

মেহেরপুর-১ আসনের সাংসদ প্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, মেহেরপুর-২ আসনের সাংসদ সাহিদুজ্জামান খোকন, মেহেরপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম, মেহেরপুর জেলা প্রশাসক মনসুর আলম খান ও পুলিশ সুপার রাফিউল আলমসহ কৃষি মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।