মমতা খাতুন বলেন, “বিশ্বাস করে ফুটো দিয়ে মাল দিই, অনেকেই মাল নিয়ে টাকাও দেয় না।”
Published : 18 Oct 2023, 07:25 PM
গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের চারপাশের দেয়াল ছিদ্র করে বন্দিদের কাছে কেনাবেচা চললেও কারা কর্তৃপক্ষ নির্বিকার।
কারগারের দক্ষিণ পাশে জেলখানা রোড হালিমা গার্মেন্টস সংলগ্ন এলাকায় সীমানা প্রাচীরে ফুটোর সংখ্যাটি তিনটি। স্থানীয় দোকানিরা সেই ফাঁকা দিয়ে ভেতর মালামাল সরবরাহ করেন।
ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, কারাগারে ভেতর থেকে ফুটো দিয়ে একটি হাত বের করে ইশারা করা হচ্ছে। তার হাতে এক প্যাকেট ডার্বি ব্র্যান্ডের সিগারেট।
ইশারা পেয়ে বাইরের দোকান থেকে এক নারী সিগারেট নিয়ে আসলেন৷ তিনি ফুটো দিয়েই পরিশোধ করলেন ৭৫ টাকা।
ওই নারীর নাম মমতা খাতুন। তিনি ও তার স্বামী শিপন এখানে মুদি দোকান চালান ৷
মমতা বলেন, “শুধু সিগারেটই কিনে থাকি, অন্য কিছু না৷”
বন্দিরা সিগারেট কোথায় পান- জানতে চাইলে বলেন, “আত্মীয়-স্বজনরা দেয়। সেসব থেকে কিছুটা আমাদের কাছে বেচে।”
কথা চলতে চলতেই দেয়ালের ফুটোতে আরেকটি হাত দেখা যায়। তার গায়ে কারারক্ষীর পোশাক, নেমপ্লেটে লেখা ‘মামুন’।
ফুটো দিয়ে ভেতর থেকে বলা হলো কলা-রুটি দেওয়ার জন্য।
এভাবে বাইরে থেকে নিচ্ছেন কেন? এই প্রশ্ন শুনে ভেতরের দুই কারারক্ষী চলে যান।
মমতা খাতুন বলেন, “প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত বিক্রি করে থাকি৷ বিশ্বাস করে ফুটো দিয়ে মাল দিই, অনেকেই মাল নিয়ে টাকাও দেয় না।”
জানতে চাইলে সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা বলেন, “গণপূর্ত বিভাগ নির্মাণকালেই সীমানার প্রচীরের একাধিক অংশের সংযোগস্থলে কিছুটা ফাঁকা রেখেছে। কিন্তু সেখান দিয়ে হাত ঢুকিয়ে পণ্য কেনা-বেচার সুয়োগ থাকার কথা নয়। বিষয়টি দেখে ব্যবস্থা নেব।”
[ প্রতিবেদনটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে:ফেইসবুক লিংক]