প্রথম স্বামী শাহিনের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ হওয়ার পর শরিফুলকে বিয়ে করেন নিহত সানজিদার মা জরিনা খাতুন। তিনি ছিলেন শরিফুলের চতুর্থ স্ত্রী।
Published : 15 Feb 2024, 01:15 PM
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় নিখোঁজ শিশুর সৎ বাবা ও প্রতিবেশী মামাকে গ্রেপ্তারের পর তাদের দেওয়া তথ্যে ধান ক্ষেতে পুঁতে রাখা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার সকালে উল্লাপাড়া উপজেলার ওলিদহ পশ্চিমপাড়া এলাকার একটি ধান ক্ষেত থেকে পাঁচ দিন ধরে নিখোঁজ শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছেন সলঙ্গা থানার ওসি মো. এনামুল হক।
নিহত শিশু সানজিদা খাতুন (৯) আমসড়া গ্রামের শাহিনের মেয়ে।
গ্রেপ্তার হয়েছেন শরিফুল ও হাসমত আলী। শরিফুল ওলিদহ গ্রামের মো. নুরালের ছেলে ও শিশুটির সৎবাবা। হাসমত আলী একই গ্রামের আবু হানিফের ছেলে ও শিশুটির নানা বাড়ির প্রতিবেশী।
সলঙ্গা থানার ওসি মো. এনামুল হক জানান, প্রথম স্বামী শাহিনের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ হওয়ার পর শরিফুলকে বিয়ে করেন নিহত সানজিদার মা জরিনা খাতুন। তিনি ছিলেন শরিফুলের চতুর্থ স্ত্রী।
পারিবারিক দ্বন্দ্বের জের ধরে দেড় মাস আগে জরিনা বাবার বাড়ি চলে যান। শরিফুল তাকে ফিরিয়ে আনতে অনেক চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন।
পরে জরিনার বাবার বাড়ির প্রতিবেশী হাসমতের শরণাপন্ন হন তিনি। হাসমত জানান সানজিদাকে অপহরণ করে তার হাতে তুলে দিলেই স্ত্রীকে ফেরত পাবে শরিফুল।
পরে গত শনিবার মাদ্রাসায় যাবার পথে সানজিদাকে অপহরণের চেষ্টা করেন হাসমত ও শরিফুল। কিন্তু শিশুটি চিৎকার করলে তাকে গলা টিপে হত্যার পর কবরস্থানের জঙ্গলে মরদেহ ফেলে রেখে যায় তারা। এরপর ওই দিন রাতেই তারা মরদেহ পাশের একটি ধানক্ষেতের মাটিতে পুঁতে রাখেন।
এদিকে, খোঁজাখুঁজির পরও সানজিদার সন্ধান না পেয়ে রোববার থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন তার নানা জহুরুল ইসলাম।
ওসি এনামুল আরও বলেন, জিডি হওয়ার পর অনুসন্ধান চালিয়ে শরিফুল ও হাসমতকে আটক করে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ তারা সানজিদাকে হত্যার কথা স্বীকার করে। এরপর তাদের দেয়া তথ্যমতে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এই বিষয়ে পরবর্তী আইনি কার্যক্রম চলমান বলেও জানান ওসি।